পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
বিন্নাগুড়ি চা বাগানে মোট পাঁচটি বুথ। ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, ওই পাঁচটির মধ্যে একটি বুথে মাত্র ৩৮ ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। বাকিগুলির কোনওটিতে তৃণমূলের এগিয়ে থাকার ব্যবধান দু’শো, কোনওটিতে তিনশোরও বেশি। একইভাবে তেলিপাড়া বাগানে চারটি বুথ। এর মধ্যে একটি বুথে ২০০ ভোটে এগিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির। বাকি সবক’টিতেই তারা তৃণমূলের কাছে পিছিয়ে পড়েছে বড় ব্যবধানে। বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন হলদিবাড়ি চা বাগানে লোকসভায় একচেটিয়া আধিপত্য ছিল বিজেপির। কিন্তু বিধানসভা উপ নির্বাচনের ফলে দেখা যাচ্ছে, সেখানে তাদের ভোটব্যাঙ্কে ফাটল ধরেছে। বাগানের ছ’টি বুথের মধ্যে চারটিতে অল্প ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থাকতে পেরেছে গেরুয়া শিবির। দু’টি বাগানে বেশ ভালো ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে ঘাসফুল।
তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, গত লোকসভায় আমরা হলদিবাড়ি চা বাগানে প্রায় ১২০০ ভোটে পিছিয়ে ছিলাম। সেখানে এবার আমরা ওই বাগানের দু’টি বুথ থেকে লিড দিয়েছি। চা বাগানের পাশাপাশি তৃণমূলের নজরকাড়া ফল হয়েছে বিন্নাগুড়ি বাজার এলাকায়। সেখানে মোট বুথ রয়েছে ছ’টি। একটিতেও দাঁত ফোটাতে পারেনি পদ্ম পার্টি। সব ক’টিতেই বড় ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে জোড়াফুল।
তৃণমূলের বানারহাট ব্লক সভাপতি সাগর গুরুং বলেন, গত লোকসভায় আমরা বিন্নাগুড়ি ও সাঁকোয়াঝোরা-১ পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ৭৬০০ ভোটে পিছিয়ে ছিলাম। এবার মাদারিহাট উপ নির্বাচনে বিন্নাগুড়ি পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ১৮৪৮ ভোটে এগিয়ে গিয়েছি আমরা। কর্মীরা মাটি কামড়ে পড়ে থেকে লড়াই করাতেই এই সাফল্য এসেছে।
অন্যদিকে, সাঁকোয়াঝোরা-১ পঞ্চায়েতের ২৬টি বুথের মধ্যে মাত্র সাতটিতে অল্প ভোটের ব্যবধানে লিড নিয়েছে বিজেপি। বাকিগুলিতে কার্যত শুয়ে পড়েছে। এরমধ্যে ২০১ নম্বর বুথে মাত্র ১ ভোটে লিড দিয়েছে বিজেপি। ২০৭ নম্বর বুথে তাদের ব্যবধান মাত্র ৩৯ ভোট। একই ছবি বিন্নাগুড়িতেও। সেখানে ১৮৪ নম্বর বুথে বিজেপির লিড রয়েছে মাত্র ১ ভোটে। এর পাশের বুথ অর্থাৎ ১৮৫ নম্বর বুথে তাদের লিড ৩ ভোট। ১৮০ নম্বর বুথে গেরুয়া শিবির ১৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছে।
গয়েরকাটা চা বাগান এলাকায় চারটি বুথ। এই বুথগুলির কোনওটিতে তৃণমূল দু’শো আবার কোনওটিতে চারশো ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে। ভোটের দিনই গয়েরকাটা বাগানে তৃণমূল কর্মীদের উচ্ছ্বাস ইঙ্গিত দিয়েছিল, ফল ভালো হচ্ছে তাদের। ভোট শেষে তাঁরা আবিরও খেলেন। ভোটের দিন গয়েরকাটা বাগানে গিয়েছিলেন মাদারিহাটের তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো। প্রার্থীকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন দলের কর্মীরা, গয়েরকাটা বাগানে বিজেপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভোটের ফলে সেটাই হয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সীমা চৌধুরীর নির্বাচনী ক্ষেত্র গয়েরকাটা। তিনি বলেন, আমরা দিন-রাত বাগানের শ্রমিকদের পাশে থেকে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছি। সেকারণেই চা বলয়ের মানুষ তৃণমূলের উপর আস্থা রেখেছে।
মাদারিহাটের বিজেপির খারাপ ফল নিয়ে পরাজিত প্রার্থী রাহুল লোহার বলেন, বুথে কিছু সাংগঠনিক দুর্বলতা ছিল আমাদের। সকলের বাড়ি পৌঁছতে পারিনি।