কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
ভাঙন রুখতে বালির বস্তার কাজ হলেই স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে রুখে দাঁড়ান, তেমনটাই নির্দেশ দেন কংগ্রেস নেতা। তাঁর এই উস্কানিতে মালদহে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়কের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল।
মানিকচক ঘাটে কয়েকদিন আগেই ব্যাপক ভাঙন হয়। গঙ্গায় তলিয়ে যায় বহু বাড়ি। এর মধ্যেই আবার মানিকচক ঘাট সংলগ্ন নারায়ণপুর এলাকায় শুক্রবার রাতে ব্যাপক ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে তলিয়ে যায় বালির বস্তা দিয়ে বাঁধানো কাজের একাংশ। এই ভাঙন কবলিত এলাকা শনিবার পরিদর্শনে আসেন মোত্তাকিন আলম সহ মানিকচক ব্লক কংগ্রেসের নেতারা। মানিকচক ঘাট এবং নারায়ণপুরের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন কংগ্রেসের নেতারা। তখনই মোত্তাকিন এলাকাবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পাথর দিয়ে বাঁধানো কাজ ছাড়া অন্য কাজ করতে দেবেন না। যদি কেউ বালির বস্তার কাজ করতে আসে, তাহলে তাদের বাধা দিন। কাজ করতে দেবেন না। মোত্তাকিনের কথায়, পাথর দিয়ে সম্পূর্ণ এলাকায় বাঁধ দিতে হবে। সেচদপ্তর ও ঠিকাদারের পকেট ভরা ছাড়া বালির বস্তার কাজে কোনও লাভ নেই।
মোত্তাকিনের এই মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। বলেছেন, মোত্তাকিন আলম কি ইঞ্জিনিয়ার? কখন বালির বস্তার কাজ হবে, আর কখন পাথরের, সেটা পরিকল্পনা করে করা হয়।
মোত্তাকিনের অভিযোগ, বিজ্ঞানের এত উন্নতি সত্ত্বেও ভাঙন থামাতে ব্যর্থ সরকার। এর দায় রাজ্য ও কেন্দ্রকে নিতে হবে। পরিকল্পনা ছাড়াই ভাঙন মোকাবিলার কাজ হচ্ছে। রাজ্য সরকার শুধু খেলা, মেলায় ব্যস্ত। অথচ মালদহ, মুর্শিদাবাদ ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রীর বক্তব্য, এখন ভাঙন রোধের জন্য অস্থায়ীভাবে কাজ হবে। এটা স্থায়ী কাজ নয়। উনি না জেনে এসব বলছেন। শুধু ঘোলা জলে মাছ ধরছেন। কোথায় ওঁর কংগ্রেস সাংসদ, তাঁর দেখা নেয় কেন? এদিন সেচদপ্তরের আধিকারিকরাও মানিকচক ঘাটের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। দপ্তরের এক জেলা আধিকারিক বলেন, নতুন করে ভাঙন রুখতে বালির বস্তার কাজ শুরু হবে। পরবর্তীতে স্থায়ী সমাধান হবে।