কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক বলেন, মাদারিহাটে ২৪টি চা বাগানের সবক’টিতেই আমাদের লিড রয়েছে। ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সব ক’টিতেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। রাঙালিবাজনায় খুব ভালো ফল হয়েছে, সেখানে লিড প্রায় ৬ হাজার ৪০০। বীরপাড়াতেও তৃণমূল এগিয়ে গিয়েছে।
মাদারিহাট আসনটি আলিপুরদুয়ার জেলায় হলেও বিধানসভার দু’টি পঞ্চায়েত জলপাইগুড়ির অধীনে। ফলে সাড়ে আট বছর ধরে বিজেপির দখলে থাকা ওই আসনে জয়ের লক্ষ্যে হাতে হাত মিলিয়ে ভোট ময়দানে ঝাঁপায় জোড়াফুলের দুই জেলার নেতৃত্ব। ঘুঁটি সাজানো হয় একেবারে পঞ্চায়েত ভোটের ধাঁচে। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ভোট না মেটা পর্যন্ত কেউ বুথ ছেড়ে নড়বে না। তারই সুফল মিলেছে ভোটবাক্সে।
মাদারিহাট জয়ে তৃণমূলের ‘পাখির চোখ’ ছিল জলপাইগুড়ি জেলার অধীন বানারহাটের সাঁকোয়াঝোরা-১ ও বিন্নাগুড়ি পঞ্চায়েতের ৫২টি বুথ। কারণ, এবারের লোকসভায় বিজেপি মাদারিহাটে যে ১১ হাজার ৬৩ ভোটে এগিয়ে যায়, তার মধ্যে ৭ হাজার ৬০০ ভোট লিড পায় এই দু’টি পঞ্চায়েত থেকে। ফলে বিধানসভা উপ নির্বাচনে এই দুই পঞ্চায়েতের ৫২টি বুথ থেকে লিড দিতে মরিয়া হয়ে ঝাঁপায় তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্ব। ফলপ্রকাশের পর চওড়া হাসি দলের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপের মুখে। বললেন, সাঁকোয়াঝোরা-১ পঞ্চায়েতে আমরা ২ হাজার ৪৯৫ ভোটে এবং বিন্নাগুড়ি পঞ্চায়েতে ১ হাজার ৮৩৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো বুথ আঁকড়ে পড়ে থেকেই এই ফল সম্ভব হয়েছে।
তৃণমূলের বানারহাট ব্লক সভাপতি সাগর গুরুং বলেন, প্রতিটি বাগান আমরা দলের দু’জন ট্রেড ইউনিয়ন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন একজন পর্যবেক্ষক। এছাড়াও দলের চা শ্রমিক সংগঠনের বাগানের ইউনিট, বুথ সভাপতিরা মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছেন। সেই পরিশ্রমের জন্যই এই ফল পেয়েছি।