ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
এরপরের ঘটনার কথা স্বপ্নেও হয়তো ভাবেননি সার ব্যবসায়ী। সেই ব্যক্তি ফোন করে কাউকে ডাকলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে দোকানের সামনে হাজির কৃষি দপ্তরের গাড়ি সহ কর্মীরা। সাদা কাগজে কিছু একটা লিখে ব্যবসায়ীর হাতে ধরিয়ে ওই ক্রেতা বললেন, আপনাকে শোকজ করা হলো। তিনদিনের মধ্যে উত্তর দেবেন। এই ঘটনায় হাঁ হয়ে যান ব্যবসায়ী। অন্যান্য ক্রেতারা তখন ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে ফিসফাস করছেন। তাঁদের ভুল ভাঙিয়ে পাশ থেকে দপ্তরের এক আধিকারিক বললেন, উনি হিলি কৃষি দপ্তরের আধিকারিক (এডিএ) আকাশ সাহা।
সারের কালোবাজারি রুখে কৃষকদের স্বস্তি দিতে দপ্তরের আধিকারিকের এমন ক্রেতা সেজে অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল হিলিতে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হিলি ব্লকের একাধিক এলাকায় ক্রেতা সেজে এভাবেই অভিযান চালিয়েছেন এডিএ। দামের তালিকা, ই-পস মেশিনের মাধ্যমে সার বিক্রি হচ্ছে কি না, প্যাকেটে উল্লিখিত দামের থেকে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। একাধিক দোকানে নিয়ম মেনে বিক্রি হলেও কয়েক জায়গায় অসঙ্গতি মিলেছে বলে দপ্তর সূত্রে খবর। এদিন মোট দু’জনকে শোকজ করা হয়েছে।
এডিএ আকাশ সাহা বলেন, আমরা বরাবর অভিযান করি। রবি ফসলের সময় ফের কালোবাজারি শুরু হয়েছে। অভিযান চালালে আগেই ব্যবসায়ীরা সতর্ক হয়ে যান। সেজন্যই ক্রেতা সেজে এসেছিলাম। বাকি ডিলার ও সার ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। অনিয়ম হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কৃষি প্রধান দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এই সময় আলু, সর্ষে, ভুট্টা, গম চাষ চলছে। সেই সুযোগে সারের দেদার কালোবাজারির অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রশাসনের সক্রিয়তা দেখলেও ত্রিমোহিনীর কৃষক সত্যেন দাসের কথায়, অভিযান হলেও সার ব্যবসায়ীরা দাম কমায় না। কড়া ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি বদলাবে না।