ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
ধৃত শক্তি মণ্ডল মালদহের মানিকচক ব্লকের দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। বুধবারই তাঁর বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আক্রান্ত সদস্য প্রতিমা মণ্ডলের ছেলে বঙ্কিম।
অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে ডেকে বিজেপির জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে প্রধান সহ চারজন মা ও ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে মানিকচক থানার পুলিস। ওই থানায় না রেখে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইংলিশবাজার থানায়। সেখান থেকেই হাজির করা হয় মালদহ সিজেএম আদালতে। মালদহ জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী দেবজ্যোতি পাল বলেন,মারধরের অভিযোগে ধৃত শক্তি মণ্ডলের ৯ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে।
দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌরচন্দ্র মণ্ডলের সামনে মারধরের ঘটনায় গুরুতর আহত প্রতিমাকে প্রথমে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে মালদহ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
দলের অভ্যন্তরীণ কলহ প্রকাশ্যে চলে আসায় এবং মহিলা সদস্যের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধানের গ্রেপ্তারিতে প্রবল অস্বস্তিতে নেতৃত্ব। বিজেপির মালদহ দক্ষিণের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ বলেন, আমি নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। মহিলা সদস্যকে মারধর করা হয়নি। দু’মাসের বেশি সময় তাদের মধ্যে বিবাদ চলছে। দু’পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য বসা হয়েছিল। বাগবিতণ্ডার জেরে বৈঠকটি বাতিল হয়। তাড়াহুড়ো করে সবাই মিলে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অভিযোগকারী চোট পান। তাঁর নাক ফেটে রক্তপাত হয়েছে। প্রতিমা ও শক্তি একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। দলীয় বৈঠক ডেকে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ করেছিলেন প্রতিমা। পঞ্চায়েতের কাজকর্ম কতটা নিয়ম মেনে হচ্ছে, বারবার সেই প্রশ্ন তোলার জন্যই তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি টেন্ডারের কাগজে সই না করায় আমবাগানে ডেকে কানে পিস্তল ঠেকিয়ে জোর করার অভিযোগ করেছিলেন প্রতিমা। ওই বিষয় নিয়েই দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল।
পঞ্চায়েতের একাধিক পদাধিকারীর বিরুদ্ধে বারংবার অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ বিজেপি’র নিচুতলার কর্মীরাও। তাঁরা সাফ বলছেন, প্রশাসন একবার তদন্ত করে দেখুক। অভিযোগ প্রমাণ হলে কঠিন শাস্তি দিক।
দক্ষিণ চণ্ডীপুরের বিজেপি কর্মী লালবাহাদুর মণ্ডলের কথায়, বারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। মনে হচ্ছে ভাগবাটোয়ার নিয়েই ঝামেলা চলছে। এতে দলের কাজকর্মে প্রভাব পড়ছে। আমরা চাই প্রশাসন একবার তদন্ত করুক। তাহলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে সত্যিই অনিয়ম হয়েছে, নাকি বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।একই সুর শোনা গিয়েছে অমর মণ্ডল, সমর বসাকের মতো কর্মীদের গলাতেও। কর্মীদের এই দাবি নেতৃত্বের উপর যে চাপ বাড়াবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধৃত প্রধানকে। - নিজস্ব চিত্র।