ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
দৃশ্য-২. পার্টি অফিসের ভিতরে হাতেগোনা তিন-চার জন বসে। ডান দিকের সার সার ঘরে তালা ঝুলছে। টিভি চলছে। জিজ্ঞাসা করতেই জানা গেল কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক এসেছেন। তবে এখানে নেই। ওদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক পাটছড়া এলাকায় জনসংযোগে গিয়েছেন।
দৃশ্য-৩. বিজেপি পার্টি অফিস থেকে বেরিয়েই উল্টো দিকের এক হোমিওপ্যাথি দোকানে ওষুধ কিনছিলেন বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। ট্রেনের এসি কামরায় কলকাতা থেকে কোচবিহার এসে তাঁর ঠান্ডা লেগেছে। তাঁর সঙ্গে ফের অফিসে এসে বসার পর আলাপ শুরু হল। এদিন দীর্ঘ আলাপচারিতায় উঠে এল তাঁর রাজনৈতিক জীবনের বহু সুখ দুঃখের কাহিনী। পার্টির শীর্ষ মহল থেকে ফোনও এল। তিনিও কর্মসূচির কথা জানিয়ে দিলেন।
দৃশ্য-৪. বেলা গড়িয়ে চলেছে। বিজেপি পার্টি অফিসে কিন্তু লোকসংখ্যা বাড়ছে না। ঘর খোলারও কোনও নামগন্ধ নেই। আলাপ হচ্ছিল দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান নিয়ে। নিখিলবাবু জানালেন, এবার একটু দেরি করে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। তিনি এদিন পর্যন্ত ১১৯ জন সদস্য সংগ্রহ করেছেন। এবার জেলায় লক্ষ্যমাত্রা তিন লক্ষ। সময়ও বাড়তে পারে। পার্টি অফিসে লোকসংখ্যা কমের বিষয়ে তাঁর যুক্তি সমস্ত কার্যকর্তারা ফিল্ডে রয়েছেন। গ্রামেগঞ্জে প্রচুর কাজ। তাই আমরা তিন-চার জন এখানে বসে রয়েছি।
দৃশ্য-৫. বেলা ২টো নাগাদ পার্টি অফিসে আসলেন কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায়। তিনি পুণ্ডিবাডিতে বাইসন দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৭ হাজার সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। তিনি নিজে ২৫২ জনকে সদস্য করেছেন। এবার স্মার্ট ফোন দিয়ে এটা করতে হচ্ছে। তাই সমস্যা হচ্ছে। পার্টি অফিসে লোক কম থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সময়ে সময়ে সকলেই আসে। সব সময় সবাই এখানে বসে থাকে না।
দৃশ্য-৬. বেলা আড়াটাতেও পার্টি অফিসে তেমন লোক এল না। প্রায় সমস্ত চেয়ারই ফাঁকা। একতলার সমস্ত ঘরই বন্ধ রইল। সেখান থেকে বেরিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেল জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। পরে ফোনে তিনি বলেন, এদিন পাটছড়া এলাকার নলঙ্গিবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ করেছি। বিজেপিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এখনও যাঁরা আছেন তাঁরা তৃণমূলে এলে যোগ্য সম্মান দেওয়া হবে।