ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কমলা মৌজার কালুয়াজোতে কয়েকশো বিঘা জমির উপর চলছে আবাসনের কাজ। প্রকল্পস্থলের চারপাশ কংক্রিটের প্রাচীর দিয়ে ঘেরা হচ্ছে। প্রকল্পের ভিতর দিয়েই গিয়েছে কৃষিনালা। অভিযোগ, নালার গতিপথ পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। এতেই বিপাকে পড়েছে কালুয়াজোতের চাষিরা। কৃষি জমিতে জল নিয়ে যেতে চাষিদের অনেকটা ঘুরপথে খাল কাটতে হচ্ছে এখন। তাঁদের সমস্যা নিয়ে প্রতিবাদ জানালে পাল্টা নানাভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ চাষিদের।
নকশালবাড়ি ব্লকে চাষাবাদের ৬০ শতাংশ জমিতেই ধাপে ধাপে থাবা বসিয়েছে নির্মাণ সংস্থাগুলি। কিছু জমিতে চাষবাদ হলেও পর্যাপ্ত সেচের অভাবে ফসল উৎপন্ন করাই দায় হয়ে পড়েছে কৃষকদের। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে চাষের জমি প্রমোটারদের হাতে তুলে দিচ্ছেন চাষিরা। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে জেলাবাসীকে কৃষিজ ফসলের জোগান দেওয়া সম্ভব হবে না বলে দাবি চাষিদের।
চাষি বিপ্লব সিংহ বলেন, ওই আবাসন প্রকল্পের পাশেই আমার জমি। চা বাগান করেছি। কৃষিনালাটি ঘুরিয়ে চা বাগানের দিকে মুখে করে দেওয়া হয়েছে। ফলে চা গাছের তলায় জমছে জল। এতে গাছ নষ্ট হচ্ছে।
অন্যদিকে সেচের জন্য জল না পাওয়া চাষি দলু সিংহ বলেন, আবাসন ঘেঁষে আমার দুই বিঘা চাষের জমি আছে। এমনভাবে প্রচীর তুলে দেওয়া হয়েছে যারজন্য কৃষিনালায় জল পাচ্ছি না। এনিয়ে আবাসনের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা কোনওরকম কর্ণপাত করছেন না।
ওই আবাসন প্রকল্পের অন্যতম কর্মকর্তা রাজীব দাস বলেন, মহকুমা পরিষদ কাস্টোডিয়ানে থাকাকালীন গ্রাম পঞ্চায়েতের এনওসি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। কৃষিনালার মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়নি। বরং সেখানে কংক্রিটের বড় নালার কাজ করা হয়েছে। নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, চাষিরা অভিযোগ জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে ভূমিদপ্তরে জানানো হয়েছে।
এনিয়ে নকশালবাড়ির বিএলআরও দেবরাজ বাগ বলেন, কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখছ। বিডিও প্রণব চট্টরাজ জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে চাষিদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।