ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রপ্রসাদ কিষানগঞ্জে বিভিন্নজনের নথি হাতিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। ট্যাব প্রতারণার টাকা ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা পড়ে। তাদের অনেকে বিষয়টি জানতে পারেনি। যাদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছিল পুলিস তাদের জেরা করেছে। তারা জেরায় জানিয়েছে, রবীন্দ্রই ভুল বুঝিয়ে তাদের কাছে থেকে নথি নিয়েছিল। তা দিয়ে সে অ্যাকাউন্ট খোলে। পুলিস জানতে পেরেছে, অনেকের অ্যাকাউন্ট সে ভাড়াও নিয়েছিল। টাকা জমা পড়ার পর তাদের কিছু টাকা কমিশন দেওয়া হয়। তবে সিংহভাগ টাকা প্রতারকরা হাতিয়েছিল।
কিষানগঞ্জে রবীন্দ্রর মতো আরও অনেকে বেনামে অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ করেছিল। তাদের সন্ধানেও পুলিস তল্লাশি শুরু করেছে। পূর্ব বর্ধমানের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের বহু পড়ুয়ার টাকা কিষাণগঞ্জে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের শাখায় জমা হয়েছিল। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, ধৃতের সঙ্গে মালদহের বৈষ্ণবনগরের হাসেম শেখের পরিচয় ছিল। হাসেমই তাকে অ্যাকাউন্ট খোলার ভার দিয়েছিল। হাসেমের কাজ ছিল পড়ুয়াদের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে হস্তান্তর করা।
রকি শেখ নামে চুক্তিভিত্তিক এক শিক্ষক তার মতো আরও কয়েকজনকে পোর্টাল সংক্রান্ত তথ্য দিত। রবীন্দ্রর মতো আরও অনেক এজেন্ট বিভিন্ন জেলা ও রাজ্যে ছড়িয়েছিল। তারা বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের ভোটার, আধার কার্ড সংগ্রহ করত। তার বিনিময়ে তাদের কিছু টাকা দেওয়া হতো। তাদের নথি দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে সেই বিষয়টি অনেকেই জানতে পারেনি। রাজ্যজুড়ে প্রতারকরা পড়ুয়াদের টাকা হাতিয়েছিল। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিস এই ঘটনার তদন্তে নামে। ভিনরাজ্য থেকে এই জেলার পুলিসই প্রথম কোনও প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃত রবীন্দ্রপ্রসাদ বেশ কিছুদিন ধরে শিলিগুড়িতে ছিল। পুলিস বাকি ধৃতদের জেরা করে তার নাম জানতে পেরেছিল। তারপরই পুলিস তাকে পাকড়াও করার ছক কষে। আরও কয়েকজন অধরা রয়েছে। তাদের নাম পুলিস জানতে পেরেছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তারাও খুব তাড়াতাড়ি জালে উঠবে বলে তদন্তকারীরা আশাবাদী।