সংবাদদাতা, পতিরাম: কর্মক্ষেত্র থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে বিপদে পড়লেন যুবতী। রাতের অন্ধকারে একা পেয়ে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করল এক ব্যক্তি। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, শনিবার রাতে কম্বল আনতে ঘরের বাইরে বের হলে যুবতীকে চেপে ধরে অভিযুক্ত। কম্বল দিয়ে তাঁর মুখ চেপে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। যুবতী নিজেকে রক্ষা করতে বাধা দিলেও তাঁকে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। চিৎকার শুনে এক প্রতিবেশী যুবক ঘটনাস্থলে এলে পালিয়ে যায় সে। ঘটনায় শোরগোল বালুরঘাটের চিঙ্গিসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি গ্রামে। পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবতী। ডিএসপি হেডকোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত বাড়িতে চোলাই তৈরি করে বিক্রি করে। সেজন্য রোজই তার বাড়িতে প্রচুর লোকের আনাগোনা। বাসিন্দারা আগে প্রতিবাদ করলেও ব্যবসা বন্ধ করেনি অভিযুক্ত। অভিযুক্তের পাড়াতেই বাড়ি নির্যাতিতার। তিনি কেরলে একটি সংস্থায় কাজ করেন। অসুস্থতার জন্য পুজোর আগে বাড়িতে এসেছেন। শনিবার রাতে তাঁর বাবাও ভিনরাজ্যে কাজে চলে যান। হাঁটাহাঁটি করতে সমস্যা হয় মায়ের। অভিযোগ, শনিবার বাড়ির বাইরে কম্বল শুকোতে দিয়েছিলেন নির্যাতিতা। দিনের বেলা তুলতে ভুলে যাওয়ায় রাত ১০টার পর সেই কম্বল আনতে গিয়েছিলেন যুবতী। তখনই তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্ত। যুবতী বলেন, কম্বল দিয়ে আমার নাক ও মুখ চেপে ধরার ফলে দম বন্ধ হয়ে আসছিল। সেই সময় পাশের বাড়ির এক ছেলে চলে আসায় আমার প্রাণ বাঁচে। অভিযুক্তকে সেভাবে চিনি না। তার কঠোর শাস্তি চাই। যুবতীকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করে প্রতিবেশী যুবক বলেন, আমি ফোনে কথা বলছিলাম। সেই সময় সামান্য চিৎকার শুনতে পাই। কী হয়েছে দেখতে গেলে নজরে পড়ে রাস্তায় ধস্তাধস্তি চলছে। আমি দৌড়ে যেতেই অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
নির্যাতিতার মামার কথায়, অভিযুক্ত বাড়িতে চোলাই মদ বিক্রি করে। নেশাগ্রস্তদের আনাগোনা বাড়ছে এলাকায়। মেয়েটার সর্বনাশ হয়ে যেত। পুলিস দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করুক।