প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
শিলিগুড়ি তো বটেই, উত্তরবঙ্গের প্রাচীন পুজোগুলি মধ্যে আনন্দময়ী কালীবাড়ির পুজো অন্যতম। শিলিগুড়ি সহ কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার থেকে আসেন ভক্তরা। মানত পূরণ হওয়ায় তাঁদের কেউ আখ, চালকুমড়ো আবার কেউ পায়রা, পাঁঠা নিয়ে আসেন। মন্দির সূত্রের খবর, এদিন বিকেল পর্যন্ত পায়রা ও পাঁঠা নিয়ে মন্দিরে এসেছেন প্রায় ৮১ জন। রাত ১০টা নাগাদ পুজোর সূচনা হয়। অঞ্জলি, যজ্ঞর মধ্য দিয়ে পুজো শেষ হয় ভোরে।
আনন্দময়ী কালীবাড়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর বিশ্বাস বলেন, চারণ কবির প্রতিষ্ঠিত ৯৮ বছরের প্রাচীন এই পুজোয় একদা পশুবলির চল ছিল। প্রায় ২০ বছর আগে সেই প্রথা তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন বৈষ্ণব মতে এখানে আনন্দময়ী মায়ের কাছে চালকুমড়ো, আখ, কাঁচাকলা ও আদা বলি দেওয়া হয়। এদিন কমিটির তরফ থেকে কুমড়ো, আখ, কাঁচাকলা ও আদা তিনটি করে মোট ১২পিস বলি দেওয়া হয়েছে। ভক্তরাও বলির জন্য এ ধরনের উপকরণ নিয়ে আসেন। এছাড়া, বহু ভক্ত পায়রা ও পাঁঠা নিয়ে আসনে। মায়ের কাছে উৎসর্গ করা হলেও তা বলি দেওয়া হয়নি। রাতভর মন্দিরে হাজির থেকে পুজো দিয়েছেন প্রচুর ভক্ত।
এদিকে, সব্জি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম অস্বাভাবিক। তা হলেও এই পুজোর ভোগ বৈচিত্র অটুট ছিল। এদিন মায়ের কাছে খিচুড়ি, পোলাও ডাল, দু’রকম সব্জি, মিষ্টি ও পায়েস নিবেদন করা হয়। আজ, শুক্রবার সকাল থেকে প্রসাদ বিলি করা হবে। মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ হাজার লোকের মধ্যে খিচুড়ি ও সব্জি ভোগ বিলি করা হবে। আনন্দময়ী কালী বাড়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, যাঁরা কুপন কাটবেন, তাঁদেরকে ফয়েল প্যাকেটে ভোগ প্রদান করা হবে। তাতে খিচুড়ি, সব্জি ও পায়েস থাকবে। কুপনের মূল্য ৭০টাকা। মন্দির উন্নয়নে এই অর্থ নেওয়া হবে।