প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
ওই বিশেষ দিনে সোনা, রুপো কেনার জন্য মানুষের ঝোঁক ছিল বেশি। সোনার কয়েন, কানের দুল, নাকছাবি, গলার হার, ছেলেদের ব্রেসলেট সহ বিভিন্ন গয়না কিনেছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে অনেকে রুপোর লক্ষ্মী এবং গণেশ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সংগঠনের মালদহ জেলা সম্পাদক উজ্জ্বল সরকার বলেন, এখন ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ৭৮ হাজার টাকা চলছে। আমরা ভেবেছিলাম, দাম বেড়ে যাওয়ায় খেটে খাওয়া এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ সোনা কিনতে পারবেন না। কিন্তু তার উল্টোটা হয়েছে। তাঁরা অল্প পরিমাণে হলেও সোনা কিনেছেন। এটা জেলার ব্যবসায়ীদের দিক থেকে অত্যন্ত ভালো দিক।
ব্যবসায়ী সংগঠনটির জেলা সম্পাদকের সংযোজন, আগের বছরের থেকে এবার ভালো ব্যবসা হয়েছে। গতবার ধনতেরসে ১৯০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল। এবার আরও বেশি হবে। আমাদের কাছে এখন পুরো আপডেট আসেনি। তবে দুশো কোটিরও বেশি ব্যবসা হয়েছে।
মালদহের কয়েকটি সোনার দোকানে সম্প্রতি ডাকাতির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও কিছুটা ভয় ছিল। তাঁদের অনেকে ভেবেছিলেন, ক্রেতারা হয়তো ঝুঁকি এড়াতে সেভাবে সোনার দোকানে আসবেন না। কিন্তু পুলিস ও প্রশাসন নিরাপত্তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ায় ভয় কেটেছিল সবপক্ষের। ব্যবসার পরিমাণ সেকথাই প্রমাণ করছে।
ধনতেরস উপলক্ষ্যে এবার জেলার সব সোনার দোকানে কড়া নিরাপত্তা ছিল। পুলিস, প্রশাসনও সবরকম সাহায্য করেছে ব্যবসায়ীদের। জেলায় ছোট এবং বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার সোনার দোকান রয়েছে। ইংলিশবাজার শহরেই আড়াইশোর বেশি। ধনতেরসে জেলার প্রায় সব দোকান বিশেষ ছাড় ঘোষণা করায় সোনা কেনার আগ্রহ বেশি ছিল বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
অনেকে ধনতেরসের দিনে ভিড় এড়াতে এবং ছাড়ের কথা মাথায় রেখে দুদিন আগেই সোনা কিনেছেন। ওই দিন সোনা কিনেছেন পুরাতন মালদহ পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বধূ প্রতিমা সিংহ বর্মা। তিনি বলেন, শুনেছি ধনতেরসে সোনা কেনা ভালো। সেজন্য শহরের একটি দোকান থেকে এক গ্রাম সোনার আংটি কিনেছি।