কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
সংবাদদাতা, ইসলামপুর: দলকে আশানুরূপ লিড দিতে না পারায় ডানা ছাঁটা হল তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতিদের। লোকসভা নির্বাচনে মন্ত্রী গোলাম রব্বানির খাসতালুক গোয়ালপোখর বিধানসভা কেন্দ্রে সন্তোষজনক ফল হয়নি। সেই কোপ গিয়ে পড়ল অঞ্চল সভাপতিদের ঘাড়ে। পদ খোয়াতে হল একাধিক অঞ্চল সভাপতিকে। এতে দলের মধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর ব্লক স্তরের নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেয় অঞ্চল স্তরের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে হবে। সিদ্ধান্ত আনুসারে আগস্ট মাসেই ১৪টি অঞ্চল কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। ৭ অক্টোবর ১৪টি অঞ্চলে নতুন করে সভাপতি এবং সহ সভাপতি নিয়োগ করা হয়েছে। গোয়ালপোখর, পোখরিয়া, গোয়াগাঁও ১, সাহাপুর ২, মহুয়া অঞ্চল মিলে মোট পাঁচটি অঞ্চলে পুরাতন অঞ্চল সভাপতিদের পদে বহাল রাখা হয়েছে। বাকি ন’টি অঞ্চলে সভাপতি পরিবর্তন করে নতুনদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জিপাড়া অঞ্চলে সভাপতি পদে ছিলেন ফিরোজ খান। তাঁর স্থানে নতুন অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে লাল মহম্মদকে। ফিরোজ সাহেব বলেন, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সবসময় দলের সঙ্গে আছি। রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ, গোয়ালপোখর বিধানসভা এলাকা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। ওই কেন্দ্রে লাগাতার তৃণমূল লিড পেয়ে এসেছে। গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছেন। তারপরেও লোকসভা নির্বাচনে গোয়ালপোখর থেকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫৫৪ ভোট। কংগ্রেস পেয়েছে ৬৬ হাজার ৮৮৮। বিজেপি পেয়েছে ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট। নির্বাচনের আগে নেতৃত্ব দাবি করেছিল, তারা বিজেপি থেকে অন্তত ৭০ হাজার ভোট বেশি পাবে। মন্ত্রীর এলাকায় এমন ফালফল হবে নেতৃত্ব তা ভাবতে পারেনি। গোয়ালপোখর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আহমেদ রেজা বলেন, ফলাফল প্রকাশের পরেই সংগঠনকে নতুন করে শক্তিশালী করার বিষয়ে ভাবা হয়েছিল। এবার কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। এর ফলে সংগঠন আরও মজবুত হবে। এদিকে, পদ হারানোয় অনেকেই ক্ষুব্ধ। এপ্রসঙ্গে আহমেদ সাহেব বলেন, দলে কোনও ক্ষোভ নেই। পদ হারানোদের অন্য কোনও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
