কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
এরমধ্যে দার্জিলিংয়ের নৃপেন্দ্র নারায়ণ বেঙ্গলি হিন্দু হলের পুজো অন্যতম। এই পুজো ১১০ বছরের পুরনো। রবিবার শিলিগুড়ি থেকে ট্রাকে করে সেই মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় লালপাড় শাড়ি পরা সাবেকি দুর্গা প্রতিমা। ১৯১৪ সালে কয়েকজন বাঙালি এই পুজোর সূচনা করেন। জমিদান করেন কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ। এজন্য তাঁর নামেই সেই হলের নামকরণ হয়। তখন দার্জিলিংয়ে থাকা বর্ধমান রাজার বাড়ি থেকেও মিলত সহায়তা। কাঁসার পাত্রে মিষ্টি ও স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে দেবীর মুখ দর্শন করতেন বর্ধমানের রাজমাতা। এখন আর সেই সহায়তা মেলে না। কিন্তু এই পুজো পর্যটকদের কাছে আজও অন্যতম আকর্ষণ।
নৃপেন্দ্রনারায়ণ বেঙ্গলি হিন্দু হল ও শ্রীমন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপআদিত্য গুহ বলেন, বর্তমানে স্থানীয় সর্বস্তরের মানুষের উদ্যোগে এই পুজো হয়। এই পুজোয় পর্যটকরা ভিড় করেন। এবারও পর্যটকদের জন্য অঞ্জলি প্রদান ও ভোগও বিলির ব্যববস্থা আছে। পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শুভাশিস সেনগুপ্ত বলেন, এবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অঞ্জলি হবে। পর্যটকদের সুবিধার্থে তা প্রতিটি হোটেল ও ট্যুর অপারেটারদের জানানো হয়েছে।
এদিকে, কালিম্পং পাহাড়ের মিলনী ক্লবের পুজোও প্রাচীন। ১৯২৮ সালে এই পুজোর সূচনা হয়। এবার ৯৬তম বর্ষ। মহালয়ায় পুজো মণ্ডপে সাবেকি প্রতিমা বসানো হয়েছে। এখানেও স্থানীয়দের পাশাপশি শামিল হন পর্যটকরা। ধস ও তিস্তা নদীর ভাঙনে বিধ্বস্ত কালিম্পংয়ের এই পুজোর থিম ‘প্রকৃতি আরাধনা’। পুজো কমিটির সহ সম্পাদক সুব্রত মান্না বলেন, এবার পুজো স্থানীয় শ্যামাদেবী ভবনে হচ্ছে। প্রকৃতিকে রক্ষা করার বার্তা নিয়ে এবার পুজোর থিম নির্বাচন করা হয়েছে। পোস্টার, ফ্লেক্স, থিম সংয়ের মধ্যদিয়ে এই বার্তা দেওয়া হবে।
ভার্চুয়ালি সংশ্লিষ্ট দু’টি পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’টি পুজোরই প্রচীন রীতি ও ভোগ বৈচিত্র অঁটুট। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ের নৃপেন্দ্রনারায়ণ হলের পুজোয় সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও সন্ধিপুজোয় মায়ের কাছে চালকুমড়া, আখ ও কলা বলি দেওয়া হয়। এছাড়া, দু’টি পুজোতেই সপ্তমীতে সাত রকম, অষ্টমীতে আট রকম এবং নবমীতে ন’রকম ভাজা, খিচুড়ি, লাবড়া, মিষ্টান্ন ভোগ মায়ের কাছে নিবেদন করা হয়।