ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
জলপাইগুড়ির আনন্দ চন্দ্র কমার্স কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ২০২৩ সালে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটি রিপোর্ট জমা দেয় গত জুন মাসে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আগস্টে বৈঠকে বসে কলেজ পরিচালন সমিতি। শোকজ করা হয় অধ্যক্ষকে। তিনি যে উত্তর দেন, তাতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় শনিবার অধ্যক্ষকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে যেতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি। এদিকে, গোটা ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির শিক্ষামহলে।
কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি দেবাশিস দত্ত বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আমি দায়িত্ব নিই। তার আগেই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। কমিটিতে ছিলেন একজন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, একজন আইনজীবী এবং অন্য কলেজের একজন অধ্যক্ষ। তাঁরা গত জুন মাসে রিপোর্ট জমা দেন। কিন্তু তখন কলেজে পরীক্ষা চলছিল বলে পরিচালন সমিতির বৈঠক করা যায়নি। আগস্টে আমরা বৈঠকে বসি। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। সেকারণেই অধ্যক্ষকে শোকজ করা হয়। তিনি যে উত্তর দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক মনে হয়নি। তাই নতুন করে একজন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে দিয়ে ফের তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যতদিন ওই রিপোর্ট জমা না পড়ছে, ততদিন অধ্যক্ষকে ছুটিতে থাকতে বলা হয়েছে।
কলেজ সূত্রে খবর, ভাউচার ছাড়াই কলেজে বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে খবর। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সেই অসঙ্গতি উঠে এসেছে। তবে টাকার অঙ্ক কত, তা স্পষ্ট নয়। সেকারণে ফের তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ পরিচালন সমিতি। জলপাইগুড়ির আনন্দ চন্দ্র কলেজ অব কমার্স। - নিজস্ব চিত্র।