বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
দেবী দুর্গার আরাধনায় এবারও তারা আয়োজনে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না। পুজো মণ্ডপের পাশাপাশি প্রতিমাতেও বিশেষ নজর দিয়েছেন আয়োজকরা। আলোকসজ্জাতেও থাকছে বিশেষ চমক। আয়োজকদের দাবি, এবারে তাঁদের পুজো জেলাবাসীর পাশাপাশি পাশ্ববর্তী জেলার দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে।
পুজো কমিটির সম্পাদক কৌশিক মাহাত (ডাকু) বলেন, আমাদের পুজোয় প্রতিবছর চমক থাকে। আমরা বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান প্রতিবছর পেয়ে থাকি। এবারে আমরা পুজো মণ্ডপ, প্রতিমা, আলোকসজ্জা- সবকিছুতে অভিনব কিছু করছি। পুজোর কয়েক দিন নানা অনুষ্ঠান থাকছে। দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ করা হবে।
ক্লাব সম্পাদক সুজন ঘোষ বলেন, হিলি সীমান্তবর্তী এলাকায় পুজোর আলাদা উন্মাদনা থাকে। আশা করছি, এবারও দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়বে এখানে।
এখানে প্যান্ডেল তৈরি করছেন সঞ্জয় দত্ত। তিনি বলেন, বাংলার প্রাচীন শিল্প বাঁশশিল্প। তা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। প্লাস্টিক আসার পরে বাঁশের তৈরি জিনিসের ব্যবহার কমেছে।
বাঁশশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা কাজ হারাচ্ছেন। তাই এখানে এবার বাঁশের তৈরি বিভিন্ন কারুকার্য থাকছে। পুজো আয়োজকরা বলছেন, ৫০ ফুট চওড়া, ৬০ ফুট উঁচু পুজো মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। পুরো মণ্ডপে কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে না। বাঁশের কাঠামোয় থাকছে ডালি, কুলো, পাখা। তার উপর থাকবে বাঁশের তৈরি নানা কারুকার্য। পুরো মণ্ডপ জুড়ে থাকবে বাঁশের নানা মডেল। প্রতিমা তৈরি হবে ডাকের সাজে। তবে এখানে কার্তিক, গণেশ, সরস্বতী, লক্ষ্মীকে শৈশবের রূপ দেওয়া হয়েছে। শৈশবে বাচ্চারা যেভাবে খেলাধুলো করে, সেভাবে দুর্গার পরিবারের সন্তানদের তুলে ধরা হবে। মৃৎশিল্পী প্রফুল্ল বর্মন প্রতিমা তৈরি করছেন। আলোকসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন অমল মহন্ত। -নিজস্ব চিত্র