বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
কয়েক পা এগিয়ে ফণীন্দ্রদেব বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সুদীপ্তা বর্মন। পিঙ্ক পুলিসের টিম পৌঁছে গেল তাঁর কাছে। জিজ্ঞেস করে জানতে পারল, ছেলে মেধা-পরীক্ষা দিতে এসেছে। তাই স্কুলের বাইরে অপেক্ষা করছেন তিনি। পুলিসকর্মীরা ওই মহিলাকে জানালেন, কোনওরকম সমস্যা মনে করলে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল থেকে ১১২ টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করবেন। আপনার বার্তা পৌঁছে যাবে পুলিস কন্ট্রোলরুমে। সেখান থেকে তা পিঙ্ক পেট্রোলিং পুলিস ভ্যানকে জানিয়ে দেওয়া হবে। মুহূর্তের মধ্যে আমরা পৌঁছে যাব।
শহর ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তা নিয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করার মাঝেই ট্রাফিক পোস্টের গায়ে সাঁটানো ‘সর্বত্র’ অ্যাপের কিউ আর কোড স্ক্যান করে নিলেন পিঙ্ক পুলিসের কর্মীরা।
এটা কেন? উত্তরে মহিলা পুলিসের একজন জানালেন, আমরা ঠিকমতো ডিউটি করছি কি না, তার উপরে নজরদারি চালাতেই এই অ্যাপ। ওই কিউ আর কোডে স্ক্যান করা মাত্রই থানা থেকে পুলিস কন্ট্রোল রুম, সর্বত্র মেসেজ চলে গেল, আমরা এখন কোথায় আছি!
বিকেলে কদমতলা এলাকায় মেয়েকে নিয়ে পুজোর শপিং সারতে এসেছিলেন মহুয়া চক্রবর্তী। বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত মহুয়ার সঙ্গেও দেখা হল পিঙ্ক পুলিসের। বললেন, পুজোর বাজারের ভিড়ে মহিলাদের গলার হার, ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা তো ঘটে। রাস্তার ধারে দল বেঁধে উইনার্স টিম ও পিঙ্ক পুলিস দাঁড়িয়ে থাকায় দুষ্কৃতীরা ভয় পাবে। এটার খুবই দরকার ছিল। আমরাও ভরসা পাচ্ছি।
পুলিস সুপার খণ্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, আমাদের উইনার্স বাহিনী যেমন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত স্কুটারে টহল দেয়, পিঙ্ক পুলিসও সর্বক্ষণের জন্য মহিলাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হয়তো কোনও মহিলা বিপদে পড়েছেন, তিনি শুধু ১১২ নম্বরে ডায়াল করলেই হবে। ওই মহিলা যদি কথা না বলার মতো পরিস্থিতিতে থাকেন, তাতেও অসুবিধা নেই। পুলিস কন্ট্রোল রুম থেকেই ডায়াল করা মোবাইল নম্বরের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে সেখানে দ্রুত পৌঁছে যাবে পিঙ্ক পুলিসের ভ্যান। একটি ভ্যানে একজন মহিলা অফিসার ও চারজন মহিলা কনস্টেবল থাকবেন। পিঙ্ক পুলিসকে সাহায্য করার জন্য ভ্যানের সঙ্গে সঙ্গে স্কুটার নিয়ে পৌঁছে যাবে অন্তত জনা কুড়ি উইনার্স বাহিনী।