বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
সুভাষপল্লি কালচারাল ক্লাবের পুজোর মণ্ডপ তৈরি করছেন নবদ্বীপের মণ্ডপ শিল্পী অলোক দেবনাথ। তিনি বলেন, মহাভারতের যুদ্ধের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খণ্ড খণ্ড দৃশ্যের আদলে মণ্ডপটি তৈরি করা হচ্ছে। মণ্ডপে যেমন পাশাখেলার দৃশ্য থাকবে, তেমনই গুরু দ্রোণাচার্যের অস্ত্র শিক্ষার প্রশিক্ষণও দেখা যাবে। সঙ্গে রথে চড়ে অর্জুন ও কর্ণের যুদ্ধও দেখতে পাবেন দর্শনার্থীরা। রথ তৈরি হচ্ছে বাঁকুড়ার টেরাকোটার আদলে।
গোটা মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে। খড় ও কাপড় দিয়েই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফাইবার গ্লাস ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিমাতে সনাতন বাঙালি বধূর সম্ভ্রম শিক্ষার বার্তা দেওয়া হবে। মায়ের সাবেকি প্রতিমা তৈরি করছেন স্থানীয় মৃৎশিল্পীই।
আলোতেও অভিনবত্ব আনা হচ্ছে। চন্দননগরের বাহারি আলোর ছটায় ভাসবে মণ্ডপের বিভিন্ন অংশ। মণ্ডপের সামনে শহরের অন্যতম ব্যস্ত লাইফ লাইন শামুতলা রোডে পুজো উপলক্ষ্যে আটটি সুউচ্চ আলোর তোরণ তৈরি করা হচ্ছে। মণ্ডপের প্রবেশ দ্বারে থাকবে রাজবাড়ির আদলে দু’টি সিংহদুয়ার।
সুভাষপল্লি কালচারাল ক্লাবের দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক গোপাল সরকার বলেন, বর্তমান প্রজন্ম ধর্মীয় মহাকাব্যের শিক্ষা ভুলতে বসেছে। মণ্ডপে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের খণ্ডখণ্ড দৃশ্য তুলে ধরব আমরা। সনাতন বাঙালি বধূর মাথায় ঘোমটা দেওয়ার মধ্যেও যথেষ্ট শিক্ষার বার্তা বহন করে। তাই আমাদের পুজোয় এবার মায়ের প্রতিমার মাথায় ঘোমটা টানা থাকবে। পুজো কমিটির সভাপতি সত্যরঞ্জন দাস জানান, অষ্টমীতে দর্শনার্থীদের খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ করা হবে।