হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, আমরা ইতিমধ্যে বর্ষার বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করেছি। বিডিও ও মহকুমা শাসকদের পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। বিপর্যয় হলে যাতে দ্রুত ত্রাণ বণ্টন ও উদ্ধারকাজ শুরু করা যায়, তারজন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। জেলায় ত্রিপল সহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে। ত্রাণের কোনও অভাব হবে না।
ডিএমের সংযোজন, মহানন্দা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় অনেকে বাস করেন। তাঁদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হবে। জলস্তর আর একটু বাড়লেই এব্যাপারে প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে। প্রয়োজনে ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহের উঁচু জায়গায় অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খোলা হবে।
ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহ শহরের মধ্য দিয়ে মহানন্দা নদী বয়ে গিয়েছে। দুই শহরেই অসংরক্ষিত এলাকায় বহু মানুষ বাস করেন। নদীর পাড়েও অনেক বসতি রয়েছে। বছর দু’য়েক আগে নদীর জল ইংলিশবাজার শহরের কয়েকটি ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েছিল। পুরাতন মালদহ শহরের একাংশ প্লাবিত হয়। ফলে দুই শহরেই ত্রাণ শিবির খোলা হয়। ইংলিশবাজার শহরের বাঁধ রোডে ত্রিপল দিয়ে একাধিক অস্থায়ী ঘর তৈরি করে দুর্গতদের আশ্রয় দেওয়া হয়। পুরাতন মালদহে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খোলা হয়। গতবার অবশ্য পরিস্থিতির তেমন অবনতি হয়নি। জলস্তর বাড়লেও দুই শহরের কোনও ওয়ার্ডে সেভাবে জল ঢোকেনি। শুধুমাত্র অসংরক্ষিত এলাকার বাসিন্দাদের ঝুপড়িগুলি জলমগ্ন হয়ে যায়। তবে এবার ফের মহানন্দার জলস্তর যেভাবে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিছুদিন আগেও নদী শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে মরা নদী যেন ফের প্রাণ পেয়ে গিয়েছে। জেলায় ভারী বৃষ্টি হলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংলিশবাজারে মহানন্দার জলস্তর ২১ মিটার ছুঁলেই তা বিপদসীমা অতিক্রম করে। তার থেকে জলস্তর অনেকটাই কম রয়েছে। তবে পরিস্থিতির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখা প্রয়োজন বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। সেচদপ্তরের আধিকারিকরা অবশ্য ইতিমধ্যে নজরদারি শুরু করেছেন। তাঁরা প্রতিদিন জলস্তর বৃদ্ধির বিষয়টি খেয়াল রাখছেন। নদী বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেলে জেলা প্রশাসন এবং রাজ্যস্তরেও এব্যাপারে রিপোর্ট পাঠানো হবে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। নদীর অসংরক্ষিত এলাকার বাসিন্দা শ্যামল দাস, ঝর্ণা মণ্ডল বলেন, নদীর জল যেভাবে বাড়ছে তাতে আমরা চিন্তিত। দ্রুত উঁচু জায়গায় সরে যাওয়ার চেষ্টা করছি।