হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
শনিবার রাতে মেলায় সাধু-সন্ন্যাসীদের আখড়ায় মোবাইল, টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি দুপুরে মেলার ভিড়ে পুণ্যার্থীদের পকেট থেকে টাকা নিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ঘটনায় ইংলিশবাজার থানার পুলিস দু’দিনে ১৩ জন মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে ইংলিশবাজার থানার এক আধিকারিক বলেন, শনিবার রাতে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চার মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার পকেটমারির অভিযোগে ন’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের নাম, ঠিকানা যাচাই করা হচ্ছে। পকেটমাররা পুলিসকে ঘোল খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। তবে ধৃত ও আটকদের মধ্যে ভিনরাজ্যের বাসিন্দাও রয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ। আমরা মেলার নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি। থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক (আইসি) দিনভর সেখানে থাকছেন। জেলা পুলিসের অন্যান্য কর্তারাও দফায় দফায় এলাকা পরিদর্শন করছেন।
বিহারের ‘ব্লেড গ্যাং’ তাদের অপারেশনের জন্য কুখ্যাত। বিহারের পাশাপাশি এ রাজ্যের মালদহ ও দুই দিনাজপুরের মেলাগুলিকে ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা টার্গেট করে। দুর্গাপুজো, কালীপুজোতেও গৌড়বঙ্গে ওই গ্যাংয়ের দাপট লক্ষ্য করা গিয়েছে। মহিলারাই মূলত হাত সাফাইয়ের কাজ করে। তাদের কাছে ব্লেড থাকে। তা দিয়ে নিখুঁতভাবে পকেট কেটে টাকা, মোবাইল হাতিয়ে নেয়। কোলে শিশুসন্তান নিয়ে ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা কেপমারিতেও সিদ্ধহস্ত। ওই মহিলারা সেজেগুজে থাকে। প্রথমে তারা ‘টার্গেট’ ঠিক করে নেয়। পরে কোলের শিশুকে চিমটি কেটে কাঁদিয়ে দেয়। তখন পোশাক ঠিক করার বাহানায় শিশুটিকে সামলানোর জন্য টার্গেটকে অনুরোধ করে। শিশুটিকে কোলে দেওয়ার ফাঁকে তারা হাতসাফাই করে। রামকেলি মেলায় প্রতিবছর লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। গতবার পঞ্চায়েত ভোটের কারণে ভিড় কিছুটা কম ছিল। তবে এবার রেকর্ড সংখ্যক লোক মেলায় আসবেন বলে উদ্যোক্তারা মনে করছেন। ফলে মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে জেলা পুলিস-প্রশাসন কিছুটা উদ্বেগে রয়েছে। বিশেষ করে এবার চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় পুলিস কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের জেরে আগত পুণ্যার্থীরাও আতঙ্কিত। পুরাতন মালদহের পুণ্যার্থী পুনম ঘোষ বলেন, আমরা মেলায় গিয়েছিলাম। ব্লেড গ্যাংয়ের ঘটনা শুনে আতঙ্কে রয়েছি। মেলায় পরিবার নিয়ে আবারও যাব। এত ভিড়ের মধ্যে নিজের ব্যাগ সুরক্ষিত জায়গায় রাখি। তার মধ্যেও টাকা ও মোবাইল চুরি গেলে ভয়ের ব্যাপার। আমরা পুলিস প্রশাসনের কাছে আরও সুরক্ষা দাবি করছি।
মন্দিরে ট্রাস্ট কমিটির অন্যতম সদস্য অরুণেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী বলেন, পুলিস কয়েকজনকে আটক করেছে শুনেছি। কিন্তু ঘটনা প্রসঙ্গে জানি না। ছিনতাই হলে খুবই দুর্ভাগ্যের।