হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
পরিবেশপ্রেমীদের অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে বর্জ্য মিশ্রিত জল পাঠানো হচ্ছে। এতে দূষণ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক মহলেও তদন্ত শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, আত্রেয়ীর জলের রং কালো হচ্ছে কেন, সেই কারণ এখনও বোঝা যাচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সেচ দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, বালুরঘাট ও কুমারগঞ্জে কোথাও জলের সঙ্গে কিছু মেশেনি। বাংলাদেশ থেকে জল আসে বলে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। আমাদের টিম খতিয়ে দেখছে।
বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদী বাংলাদেশ থেকে কুমারগঞ্জ হয়ে প্রবেশ করেছে। এরপর বালুরঘাটের উপর দিয়েই ফের আত্রেয়ীতে চলে গিয়েছে। আত্রেয়ী বালুরঘাটের লাইফলাইন বলে পরিচিত। কৃষিকাজ থেকে মৎস্য শিকার, সবই এই নদীর উপর নির্ভরশীল। আত্রেয়ী এই শহরের বাসিন্দাদের পানীয় জলের চাহিদা মেটায়। তবে বর্ষায় নদীর জলস্তর বেড়ে যায় এবং ঘোলা জল আসতে শুরু করে। পরে ধারে ধীরে স্বাভাবিক নীলচে রঙে ফিরে আসে। কিন্তু শনিবার থেকেই থেকেই কালো রঙের জল আসতে শুরু করেছে নদীতে। নদীর সঙ্গে বহু খাঁড়ি রয়েছে। সেগুলির জলের রংও কালো হয়ে গিয়েছে।
বালুরঘাটের পরিবেশ ও নদীপ্রেমী বিশ্বজিত্ বসাক বলেন, কুমারগঞ্জ থেকে নদীতে কালো জল আসছে। ফলে নদীর সঙ্গে সংযুক্ত খাঁড়িগুলিতেও জলের রং কালো হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ আগেই এই নদীর জল আটকেছে। এখন জলের সঙ্গে ব্যাপক বর্জ্য পাঠাচ্ছে বলে মনে করছি। এই জল কতটা দূষিত জানার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠাচ্ছি।
বালুরঘাট শহরের নদীপারের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বর্ষা শুরু হওয়ায় কয়েক দিন আগে ঘোলা জল আসছিল। এখন কালো জল আসছে। পাশাপাশি দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।