হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
রবিবার ময়নাগুড়ি নতুন বাজারে নাগরিক চেতনার সাধারণ সভা হয়। সেই সভার মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান ধীরাজ ঘোষ। সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন নিখিলচন্দ্র অধিকারী, প্রবীর চৌধুরী, সিদ্ধার্থ সরকার, নিশীথ রায় ও সুশীল রায়। সহ সম্পাদক মনোজ সাহা, বিনয়বন্ধু মজুমদার ও বাবাই সাহা। কোষাধ্যক্ষ গোপাল দে সরকার ও সহ কোষাধ্যক্ষ প্রবীর পাল। এছাড়াও সাংস্কৃতিক আহ্বায়ক, পরিবেশ সংক্রান্ত কমিটি ও রেল সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয় এদিনই।
১৯৯৪ সালে ময়নাগুড়ি নাগরিক চেতনা পথচলা শুরু করে। সংগঠনের কর্মকর্তাদের দাবি, তাঁদের আন্দোলনের ফলে ময়নাগুড়িতে দ্বিতীয় জর্দা সেতু হয়েছে। ময়নাগুড়িতে বাস টার্মিনাস, দমকল কেন্দ্র স্থাপন, ময়নাগুড়ি হাসপাতালে বেড সংখ্যা বৃদ্ধি তাঁদের আন্দোলনের ফল। এবার তারা আরও বেশ কয়েকটি কর্মসূচি নিয়ে ঝাঁপাতে চলেছে। যারমধ্যে একটি ময়নাগুড়িতে মহিলা কলেজ। সমিতির সম্পাদক অপু রাউত বলেন, ময়নাগুড়ির সার্বিক উন্নয়নে আমরা বহুদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। ময়নাগুড়িতে এখন একটিই মাত্র ডিগ্রি কলেজ। সেখানে যত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী তার ২৫ শতাংশ কলেজে এলে বসতে দেওয়ার মতো জায়গা হয় না। ময়নাগুড়ি কলেজে প্রায় ৭০ শতাংশ ছাত্রী। সেই কারণে আমরা মহিলা মহাবিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে এবারে আন্দোলনে নেমেছি। আমরা পাঁচ হাজার সই সংগ্রহ করে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠাব। সেই কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, ময়নাগুড়িতে মহিলা কলেজ হবেই। আমরা জানতে পেরেছি ঐতিহ্যবাহী রাধিকা লাইব্রেরির জমির একাংশ দখল হয়ে গিয়েছে। সেই জমি যাতে পুনরুদ্ধার হয় তারজন্য আমরা সংগঠনের সদস্যরা অবস্থানে বসব। ময়নাগুড়ির লাইফ লাইন জর্দা নদী দূষণে ভরেছে। নদী দূষণমুক্ত করতে আন্দোলন চলছে। কীভাবে ময়নাগুড়ির সার্বিক উন্নয়ন করা যায় সেটাই লক্ষ্য। রবিবার আমাদের নতুন কমিটি হয়েছে। আমরা একজোট হয়ে ময়নাগুড়ির উন্নয়নে কাজ করছি।