হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। শহরের সুনীতি রোড, রাজরাজেন্দ্র নারায়ণ রোড সহ কয়েকটি গলিপথে জল জমায় শহরবাসীকে ভুগতে হচ্ছে। পরিকল্পিত নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে না তোলার জন্যই এই সমস্যা। যদিও পুরসভার দাবি, কম সময়ে বেশি বৃষ্টি হলে কিছু রাস্তায় জল জমলেও তা কিছুক্ষণ পর নেমে যায়। নিকাশি নালাগুলি নিয়মিত সাফাই করা হচ্ছে।
কেশব রোডের বাসিন্দা ভবেশ চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর বর্ষায় রাস্তায় জল জমে দুর্ভোগে পড়তে হয়। পুরসভা সাফাই করলেও নালাগুলির গভীরতা কম। এ দিকটি পুরসভার দেখা উচিত। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহানন্দ সাহা বলেন, এখনও বর্ষা সেভাবে শুরু হয়নি। ভারী বৃষ্টি শুরু হলে এবারও কোচবিহার শহরে জল জমার সমস্যা হবে। আগে অনেক ফাঁকা জায়গা ছিল। সেখানে রাস্তার জল গিয়ে দাঁড়াত। এখন সেসব জায়গায় বাড়িঘর, আবাসন তৈরি হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। ১৫ বছরে জল বের করার কাজ হয়নি। নিকাশি নালার যে মুখগুলি নদীতে গিয়ে পড়েছে, সেগুলিরও সংস্কার হয়নি। লোক দেখাতে নালা থেকে মাটি তোলা হয়। ফলে প্রতিবছরের মতো এবারও শহরে জল আটকে থাকবে।
পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, শহরের জল নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকঠাকই আছে। জল বেরিয়ে যেতে যেটুকু সময় লাগে, সেটুকু সময় দিতেই হবে। রাজবাড়ি, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম, পলিটেকনিক এলাকার জল মিনি বাসস্ট্যান্ড চত্বরে জমে। খাগড়াবাড়ির নিকাশি নালা দিয়ে জল শহরের দিকে আসে। ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকেও জল আসে। আমরা নিকাশি নালা পরিষ্কার করেছি। তারপরও কোথাও জল জমলে আমাদের সাফাইকর্মীরা ময়দানে থাকছেন। তাঁরা জল বের করে দেওয়ার পথ বানিয়ে দেবেন।
প্রতি বর্ষাতেই টানা ঘণ্টা খানেক বৃষ্টি হলে রাজবাড়ির সামনে কেশব রোডে জল জমে যায়। সেই জল ভেঙে মিনি বাসস্ট্যান্ড, এনবিএসটিসির স্ট্যান্ডে আসতে হয়। পুরাতন পোস্ট অফিসপাড়া, ব্রাহ্ম মন্দিরের সামনে রাজরাজেন্দ্র নারায়ণ রোডেও সামান্য বৃষ্টি হলে জল দাঁড়িয়ে যায়। সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় বছরের পর বছর মানুষকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।