হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
কাঁচা হোক কিংবা পাকা- কাঁঠাল হলেই হবে।
এই সব সামগ্রী তৈরি করে এবার মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলছে উত্তর দিনাজপুর কৃষি বিজ্ঞানকেন্দ্র। সেজন্য গ্রামের মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। চোপড়ার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধন্দুগছের বেশ কয়েকজন মহিলা কয়েকবছর ধরে এই কাজ করে চলেছেন। সেখানকার অঞ্জলি বসু দাস কাঁঠালের এই মুখরোচক খাবার তৈরি করতে বেশ সিদ্ধহস্ত। বেশ কয়েকবছর ধরে কাঁঠালের মরশুমে এই সামগ্রী তৈরি করছেন। কোথায় বিক্রি হয় কাঁঠালজাত এই সামগ্রী? অঞ্জলির কথায়, বিভিন্ন সরকারি মেলা, অনুষ্ঠান, হস্তশিল্প মেলা, দুয়ারে সরকার শিবিরে স্টল দিয়ে আমরা এইসব সামগ্রী বিক্রি করি।
কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ অঞ্জলি শর্মা বলেন, গ্রামে সব বাড়িতে কমবেশি কাঁঠাল গাছ থাকে। একমাত্র কাঁঠাল গাছে কোনওরকম সার ব্যবহার করা হয় না। পুরোটাই অর্গানিক। তাই এটা স্বাস্থ্যের পক্ষেও উপকারী। কয়েকবছর থেকে কাঁঠালের বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরিতে মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে জানা গিয়েছে, ধন্দুগছের দুটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা কাঁঠালজাত এই সামগ্রী তৈরি করছেন। গত কয়েকবছর ধরে মহিলারা বাড়িতে বসে কাঁঠাল থেকে আচার, পাঁপড়, জেলি তৈরি করছেন। অঞ্জলি বসু জানান, সারাবছর এই সামগ্রীর চাহিদা থাকে।
এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এমনিতে সারাবছর মাশরুম দিয়ে নানা সামগ্রী বানিয়ে বিক্রি করেন। গরমে কাঁঠালের মরশুমে কাঁঠালজাত এইসব সামগ্রী বানিয়ে রেখে সারাবছর বিক্রি করেন। কাঁঠালের এই সামগ্রী তৈরি করতে গ্রামে গ্রামে মহিলাদের আরও বেশি প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে দিনাজপুর কৃষি বিজ্ঞানকেন্দ্র। কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ অঞ্জলি শর্মার কথায়, এবারও প্রশিক্ষণ শিবির করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইচ্ছুকরা প্রশিক্ষণের জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সবমিলিয়ে গ্রামের কাঁঠালও এবার আয়ের দিশা দেখাচ্ছে মহিলাদের।