হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
এভাবে ডাইভারশন ভেঙে আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটার মধ্যে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ। ফলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই রুটের নিত্যযাত্রী সহ সাধারণ মানুষ। যাত্রীদের অভিযোগ, বর্ষা আসছে জানার পরও সড়ক কর্তৃপক্ষ দুর্বল ডাইভারশন মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেয়নি। এখন তারই ফল ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। বাড়তি ভাড়া দিয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে পাশের জেলা কোচবিহার হয়ে ঘুরপথে ফালাকাটা যেতে হচ্ছে। এতে সময়ও অপচয় হচ্ছে। সলাসলাবাড়ি থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত ৪১ কিমি এই জাতীয় সড়কে ফোর লেনের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। কিন্তু সাত বছরেও ফোর লেনের কাজ শেষ হয়নি। মাঝপথে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মহাসড়ক গণসংগ্রাম কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তপনকুমার বর্মন বলেন, সাত বছরে দু’টি লোকসভা, দু’টি পঞ্চায়েত ও একটি বিধানসভার ভোট হয়েছে। তারপরও ফোর লেনের কাজ শেষ হল না। বর্ষা এলেই আমাদের ভোগান্তি বাড়ে। অথচ রাজ্য ও কেন্দ্র কোনও সরকারেরই এ নিয়ে কোনও হেলদোল দেখি না। এই অবহেলা বঞ্চনার বিরুদ্ধে আমরা এবার আন্দোলনে নামব। যদিও জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ভেঙে যাওয়া ডাইভারশন মেরামতের কথা বলা হয়েছে। নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের সজাগ থাকতে এলাকায় রবিবার মাইকিং করা হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার-ফালাকাটার দূরত্ব ৪০ কিমি। আলিপুরদুয়ার থেকে ফালাকাটা কোচবিহার দিয়ে ঘুরপথে আরও ২০ কিমি বাড়তি রাস্তা যেতে হচ্ছে বাসগুলিকে। এজন্য রবিবার থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও বাস মালিক সংগঠনগুলি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আলিপুরদুয়ার-ডুয়ার্স মোটর ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোপাল চক্রবর্তী বলেন, এই অভিযোগ ঠিক নয়। ঘুরপথে যাতায়াত করতে হলেও বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। একইভাবে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ঘুরপথে যাওয়ার জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছি না আমরা। যদিও দুর্বল অস্থায়ী ডাইভারশন কেন বর্ষার আগে মেরামত করা হয়নি, তা জানতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সঞ্জীব শর্মাকে এদিন একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। মেসেজ করা হলেও উত্তর আসেনি।