বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, জখম যুবকের নাম সুমন সাহা (৪০)। রসিলাদহের বাগানপাড়া এলাকায় ছোট বাড়ি। সেই বাড়ির সামনের দিকে তাঁর মুদিখানা রয়েছে। স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে সংসার।
অন্যদিনের মতো শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ শুয়ে পড়েছিলেন সাহা দম্পতি। রাত প্রায় দু’টো নাগাদ পিছনের ঘরের গ্রিল ভেঙে তিন দুষ্কৃতী ঘরে ঢুকে পড়ে। ওই ঘরেই শুয়েছিলেন সুমন। শনিবার হাসপাতাল থেকে জখম স্বামীকে দেখে এসে বাড়িতে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী রাখি সাহা। সামনে থেকে গুলি চালানো দেখে এখনও আতঙ্ক কাটেনি তাঁর। রাখি বলেন, আমরা বিছানা থেকে নামার সময় পাইনি। ঘরে ঢুকেই দুষ্কৃতীরা দু’বার গুলি চালায়। একটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও অন্য গুলিটি স্বামীর বাম পায়ে লাগে। দুষ্কৃতীদের মুখ ঢাকা ছিল। তা সত্ত্বেও দু’জনকে আমরা চিনতে পেরেছি। অন্য আর একজনকে চিনি না। এদিকে, গুলির আওয়াজ আর সাহা দম্পতির চিত্কার শুনে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। বিপদ বুঝে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
কিন্তু কেন গুলি করল দুষ্কৃতীরা? রাখি জানিয়েছেন, মাসছয়েক আগে তাঁদের বাড়ির কাছের একটি জায়গা নিয়ে এলাকায় অশান্তি হয়েছিল। গ্রামেরই কয়েকজন জমি দখল করার চেষ্টা করেছিল সেই সময়। সেই সময় অন্য গ্রামবাসীর সঙ্গে সুমনও বিষয়টির বিরোধিতা করেন। তখনই সুমনকে ‘পরে দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্তরা। সেই ঘটনার প্রায় ছ’মাস পর শুক্রবার সুমনের ওপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল। ইতিমধ্যেই মালদহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সুমনের পরিবার। মালদহ থানার এক পদস্থ পুলিস আধিকারিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও কেউ ধরা পড়েনি। ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের জটলা। - নিজস্ব চিত্র।