মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
যদিও উত্তর দিনাজপুর জেলার বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের অফিসার ইনচার্জ সৌমিতা পাল বলেন, আমাদের তিনটি ব্লকে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আধিকারিক নেই। ভোটের আগে নির্বাচনের নিয়ম মেনে দপ্তর থেকে তাঁদের বদলি করা হয়েছে। পরিবর্তে অন্য আধিকারিককে সেখানে আনা হয়নি। এছাড়াও ইটাহার ও হেমতাবাদ ব্লকে বিডিএমও পদে কেউ নেই। জেলায় দুটি মহকুমায় মোট ন’টি ব্লক। রায়গঞ্জ সদর মহকুমার অধীনে রয়েছে রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার ও হেমতাবাদ ব্লক। ইসলামপুর মহকুমায় করণদিঘি, গোয়ালপোখর-১ ও ২, ইসলামপুর ও চোপড়া ব্লক। রাজ্যের অন্যতম নদীমাতৃক এই জেলা বন্যাপ্রবণ। ফি বছর বিভিন্ন এলাকা কার্যত জলের তলায় চলে যায়। অতীতে বেশ কয়েকবার ভয়াবহ বন্যার সাক্ষী থেকেছেন জেলার মানুষ। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ন’টি ব্লকের মধ্যে চোপড়া ইসলামপুর, করণদিঘি, ইটাহার ও হেমতাবাদ ব্লকে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অধিকারিক নেই। এই পাঁচটি ব্লকের মধ্যে ইটাহার এবং ইসলামপুর বন্যাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত।
জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আধিকারিক সৌমিতা পাল আরও বলেন, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তরের নিজস্ব লোক না থাকায় সমস্যা থেকেই যায়। ব্লক প্রশাসনকে তখন অন্য কোনও আধিকারিককে বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে।
বিপর্যয় ঘটলে ব্লক ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অধিকারিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে একজন বিডিএমও বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার কাজে ব্লক প্রশাসনকে সবথেকে বেশি সহযোগিতা করেন। বন্যা হলে বানভাসিদের উদ্ধার করা, তাঁদের ফ্লাড শেল্টার অথবা নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া সহ ত্রাণের ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এই অধিকারিকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে।
বন্যাপ্রবণ ইটাহার ব্লকে সুই এবং কুলিক নদী মিশেছে। আবার এই ব্লকেই মহানন্দায় গিয়ে মিশেছে দুই নদী। ফলে বর্ষায় জলস্ফীতিতে বিপদের আশঙ্কা থাকে। ইটাহারের বিডিও দিব্যেন্দু সরকার বলেন, আমাদের ব্লকে বিডিএমও নেই। তবে অন্য একজনকে চার্জ দেওয়া হয়েছে।
কুলিকের জলে প্রতি বর্ষায় হেমতাবাদ ব্লকের বিষ্ণুপুর চৈনগর এবং নওদা গ্রাম পঞ্চায়েত জলমগ্ন হয়ে যায়। ২০১৭ সালের বন্যায় বহু গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। হেমতাবাদের বিডিও সুদীপ পাল বলেন, আমাদের ব্লকে বিডিএমও নেই। গোটা বিষয়টাই জেলা প্রশাসন জানে।