হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
কৃষকদের অনেকে জানিয়েছেন, চাষবাসের পাশাপাশি তাঁরা পুকুরে মাছ চাষ করেন। বৈশাখ মাসের শেষের দিকের বৃষ্টিতে সামান্য হলেও পুকুরে জল থাকে। ফলে সেসময় পুকুরে পোনা ছাড়া হয়। কিন্তু এবছর বৃষ্টির দেখা নেই। তারউপর প্রখর রোদ। ফলে পুকুরের জল দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হলে মাছচাষে বড়সড় ক্ষতি হবে। মাছ বাঁচানো যাবে না।
ধূপগুড়ির কালীরহাট, ডাউকিমারি, খট্টিমারি এলাকার অনেক পুকুরে চাষিরা পাম্পের সাহায্যে জল ঢোকাচ্ছেন। অনেক বছর পর এভাবে পুকুর শুকিয়ে গেল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ধূপগুড়ির কালীরহাটের কৃষক সুরেশ রায় বলেন, আগে এতটা জলসঙ্কট হতো না পুকুরে। প্রতিবছর বৈশাখ মাসে কিছুটা অন্তত বৃষ্টি হয়ে থাকে, কিন্তু এবছর ব্যতিক্রম। ফলে বেশিরভাগ পুকুরের জল শুকিয়ে গিয়েছে। এমনটা চললে মাছ বাঁচানো যাবে না।
ডাউকিমারির চাষি সুব্রত রায় বলেন, পুকুরে জল নেই। কবে মাছের পোনা ছাড়তে পারব, জানি না। মাছের পোনা ব্যবসায়ী বিষ্ণু সরকার বলেন, ‘প্রতিবছর এ সময়ে পোনা বিক্রি করে থাকি। কিন্তু এ বছর ধূপগুড়ির পুকুরগুলিতে জল নেই বললেই চলে। খুব তাড়াতাড়ি বৃষ্টি না হলে মাছচাষে মারাত্মক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা মাছ ব্যবসায়ী আইজুল হকের।
ধূপগুড়ি ব্লক মত্স্য আধিকারিক দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুরে মাছচাষে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তবে আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যেই বৃষ্টি হবে। পরিস্থিতি বদলাবে।