মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
মালদহের জেলা শাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, জেলায় একটি ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুম রয়েছে। পাশাপাশি ১৫টি ব্লকেই একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা থাকছে। যে গাছগুলির ডালপালা খুব বড়, সেগুলিকে চিহ্নিত করে ছাঁটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাস্তায় গাছের ডাল ভেঙে পড়লে দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য ইলেকট্রনিক করাত ব্যবহার করা হবে। বিদ্যুৎ দপ্তরকে সতর্ক করা হয়েছে। ওই দপ্তরের আধিকারিকরা রেমালের প্রভাবে সমস্যা হলে মোকাবিলায় প্রস্তুত। ব্লক হাসপাতাল ও মালদহ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষকেও প্রস্তুত থাকার কথা বলা হয়েছে।
এদিন মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে তরিকুল ইসলাম বলেন, জেলায় ৪৩টি ফেরিঘাট রয়েছে। এছাড়াও প্রায় ২৫ হাজার মৎস্যজীবী রয়েছেন। আমরা তাঁদের কাছে জেলা প্রশাসনের সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।
মালদহের হবিবপুর থানা এলাকায় পুলিসের পক্ষ থেকে লাগাতার মাইকিং করা হয় এদিন। জেলার অন্যান্য থানা এলাকাতেও একই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দপ্তরের পদস্থ কর্তা তপন কুমার দাস বলেন, ২৭ তারিখ এই সাইক্লোনের প্রভাব সর্বাধিক অনুভূত হতে পারে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরনোরও পরামর্শ দেন তিনি।
অন্যদিকে, সাইক্লোনে বড় ক্ষতির আশঙ্কায় মালদহের অনেক আম উৎপাদক অপরিপক্ক অবস্থাতেই গাছের ফল পেড়ে নিতে শুরু করেছেন। এমনিতেই এবছর আমের উৎপাদন অনেকটাই কম। সাইক্লোনের ফলে আমের ব্যবসায় আরও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন উৎপাদকরা।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়তে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও। আগামী ২৭, ২৮ এবং ২৯ তারিখে রেমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। তিনদিন মিলিয়ে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টির হতে পারে। জেলার মাঝিয়ান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক সুমন সূত্রধর বলেন,রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাপপ্রবাহের জন্য গরম থাকবে জেলায়। তবে ২৭, ২৮ এবং ২৯ তারিখে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টি হবে। যার ফলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে দাঁড়াবে ৩২ থেকে ৩৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন থাকবে ২৪ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গৌড়বঙ্গের মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।