গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
এদিন বীরবাহাদুরকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছিলেন তাঁর দুই ভাইপো। রাজেন রাই নামে এক ভাইপো বলেন, ফোটোয় এতদিন কাকার ছবি দেখে এসেছি। ছবিতে দেখা কাকাকে আজ সামনে দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে। বাড়ির তরফে জানানো হয়েছে প্রায়, ৪৫ বছর আগে থেকেই নিখোঁজ ছিলেন বীরবাহাদুর রাই। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে কাজের সন্ধানে তিনি বাংলাদেশে চলে যান। তখন তাঁর বয়স ৩০ বছর ছিল।
এদিন বীরবাহাদুর বলেন, কী করে আমি বাংলাদেশে চলে গিয়েছিলাম আজও মনে করতে পারছি না। কাজের সন্ধানে বাংলাদেশের বগুড়ার একটি চালকলে কাজ পেয়েছিলাম। সেখানকার মালিক ছিলেন অলোক বসাক। আমাকে যথেষ্ট স্নেহ করতেন। কোনও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু সব সময় বাড়ির জন্য মন কাঁদত। দেশে ফেরার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। বিয়ে করিনি। শেষ ক’টা দিন একা একা বাংলাদেশে থাকব এটাই ঠিক ছিল। কিন্তু হঠাৎ একদিন বাংলাদেশের সরকারের তরফে আমার কাছে খবর আসে আমার বাড়ির লোক আমাকে ফিরিয়ে নিতে আসছেন। তাই এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম।
নেপাল দূতাবাসের অন্যতম সচিব রীনা ছেত্রী বলেন, বীরবাহাদুরের পরিবারের তরফে আমাদের জানানো হয়েছিল তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছে তাদের পরিবারের লোক বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় আছে। তারপর আমরা বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করি। দুই দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ ও আলোচনার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এদিন বাংলাদেশের তরফে বীরবাহাদুরকে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিন ফুলবাড়িতে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ, নেপাল দূতাবাসের আধিকারিকদের পাশাপাশি বিএসএফের আধিকারিকরাও। নিজস্ব চিত্র।