গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,মঙ্গলাদেবী ভিটেবাড়িতেই থাকতেন। যেখানে এখন ছোট ছেলে রয়েছেন। স্বামী প্রাণকৃষ্ণ সরকারের মৃত্যু হয়েছে প্রায় চল্লিশ বছর আগে। যে ভিটে বাড়িতে স্বামী থাকতেন, সেখানে জীবনের বাকি সময়টুকু কাটাতে ছেলেদের কাছে আকুল আবেদন করেছেন এই বৃদ্ধা। তিনি বলেন, আমাকে ছোট ছেলে ঢুকতে দিচ্ছে না। মেয়ের বাড়িতে তিন বছর আগে পুজোয় গিয়েছিলাম। তারপর থেকেই রাগে ছোট ছেলে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। বাধ্য হয়ে মেয়েদের বা অন্য ছেলেদের বাড়িতে থেকেছি। এখন নিজের বাড়িতে থাকতে চাই।
যদিও ছোট ছেলে স্বপন সরকারের দাবি, বাড়িটি তাঁর নামেই রয়েছে এবং মঙ্গলাদেবী সেখানেই থাকতেন। তবে এখন তিনি একা মায়ের দায়িত্ব নিতে পারবেন না। মায়ের খরচ চালাতে বাকি দাদা ও দিদিদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারপরই মায়ের দায়িত্ব নেব। তার আগে মাকে বাড়িতে ঢুকতে দিলে সমস্যা হবে।
মঙ্গলাদেবীর সেজো ছেলে অনিল সরকারের কথায়, ভিটে বাড়ির ছয় কাঠা জায়গা মায়ের কাছ থেকে লিখিয়ে নিয়েছে ছোট ভাই। তার উচিত মায়ের দেখভাল করা। আমি মায়ের দায়িত্ব নিতে পারব না।
এদিনের ঘটনায় প্রতিবেশীরাও তীব্র নিন্দা করেন। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুনীল হালদার। তিনি বলেন, এই সমস্যা নিয়ে সাতদিন আগেও মিটিং হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমাধান না হলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।