গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
স্থানীয় কৃষক জিনুস ওরাওঁ বলেন, এই প্রথম আমাদের রাজগঞ্জে ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক ওষুধ প্রয়োগ করা শুরু হল। এদিন আমার পাটের জমিতে কীটনাশক স্প্রে করালাম। দুই বিঘা জমিতে স্প্রে করতে সময় লাগল ১৫ মিনিট। এতে সময় অনেক কম লাগল। এই পরিমাণ জমিতে কীটনাশক স্প্রে করতে সাধারণত দু’ঘণ্টা সময় লাগে। প্রথমবার ড্রোন দিয়ে স্প্রে করলাম। ফলাফল ভালো হলে ফের করাব। ধান চাষি আনারুল মোহাম্মদও ধানের জমিতে এভাবে কীটনাশক স্প্রে করিয়ে খুব খুশি।
জলপাইগুড়ি জেলার প্রথম মহিলা ড্রোন পাইলট পূজা রায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প থেকে আমি এই ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করছি। উওর প্রদেশের ফুলপুরে ২০ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমি এই অত্যাধুনিক ড্রোনের ব্যবহার করে কৃষকের সহযোগিতা করতে চাই। ড্রোনের মাধ্যমে চাষের জমিতে কীটনাশক ব্যবহারে অর্থ ও সময় যেমন বাঁচবে তেমনি ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও চাষিদের মুক্তি মিলবে। মহিলারা এই প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।
এনিয়ে রাজগঞ্জ ব্লক কৃষি আধিকারিক জয়ন্ত কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্প থেকে পূজাকে ড্রোন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার তারই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ছিল। রাজগঞ্জে এটা প্রথম। যে কেউ সামান্য খরচে ড্রোন দিয়ে জমিতে স্প্রে করাতে পারেন। এই ড্রোনটি ১০ লিটার জল সহ উড়তে পারে। এতে করে কৃষকদের অনেক সুবিধা হবে। এই ড্রোন দিয়ে চাষের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন রকম ওষুধ স্বল্প সময়ে স্প্রে করা যাবে।