গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি বলেন, ইতিমধ্যেই উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রকল্পের বেশকিছু কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। গ্রে ওয়াটার ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ব্যবহৃত জল বিশেষভাবে ফিল্টার করে গ্রাউন্ড ওয়াটার রিচার্জ করা হয়। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বচ্ছ ভারত মিশন (গ্রামীণ) প্রকল্পের অধীনে উত্তর দিনাজপুর জেলা ‘ওপেন ডেফিকেশন ফ্রি প্লাস’ হিসেবে ঘোষিত হতে চলেছে। এরজন্য ‘লিকুইড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের একশো শতাংশ কাজ শেষ করতে হবে। যারমধ্যে ‘গ্রে ওয়াটার’ এবং ‘ব্ল্যাক ওয়াটার’ ম্যানেজমেন্ট রয়েছে। গ্রে ওয়াটার হল প্রত্যেক বাড়ির প্রতিদিনের ব্যবহার করা যে জল নর্দমার মধ্যে দিয়ে বয়ে যায়। সেই জল সোকপিট বা লিচপিট অর্থাৎ শোষক গর্তের মাধ্যমে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মাটির নীচে পৌঁছে দেওয়া হবে। ঠিক একই ভাবে ব্ল্যাক ওয়াটার অর্থাৎ মলমূত্রের জলও মাটির নীচে পাঠিয়ে ‘গ্রাউন্ড ওয়াটার রিচার্জ’ করা হবে।
জেলার প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতেই একটি করে এই প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। জয়েন্ট বিডিও এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়করাই স্বচ্ছ ভারত মিশন (গ্রামীণ) প্রকল্পের নোডাল অফিসার। তাই তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। তাঁরা গ্রামে গিয়ে কীভাবে মানুষকে বোঝাবেন, তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
চারদিনের প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে বুধবার। প্রথমদিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় রায়গঞ্জ মহকুমার ইটাহার, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, রায়গঞ্জ এবং করণদিঘির বিডিও, জয়েন্ট বিডিও, নির্মাণ সহায়কদের। বৃহস্পতিবার তাঁদের ব্লকে নির্মীয়মান প্রকল্পে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শুক্রবার ইসলামপুর মহকুমার গোয়ালপোখর ১ ও ২, ইসলামপুর এবং চোপড়ার বিডিও, জয়েন্ট বিডিও, নির্মাণ সহায়কদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।