প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ফাঁসিদেওয়া ব্লকরে হেলাগছ থেকে বিহারের ঠাকুরগঞ্জের পুয়াখালিতে কনেযাত্রী বোঝাই দু’টি পিকআপ ভ্যান বেলা সোয়া ১২টা নাগাদ রওনা দেয়। প্রথম পিকআপ ভ্যানটি এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়টি পৌনে ১টা নাগাদ জাতীয় সড়কে একটি লরিকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের রেলিংয়ে ধাক্কা মেরে বেশ কয়েকবার পাল্টি খায়।
স্থানীয়রাই প্রথমে জখমদের উদ্ধার করে ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতাল ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে আসে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস। জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা জেরে কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল বন্ধ থাকে। প্রত্যক্ষদর্শী তনীশ প্রধান বলেন, চোখের সামনে পিকআপ ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একাধিকবার রাস্তার মধ্যে পাল্টি খায়। আমরা তড়িঘড়ি জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।
জখম কনেযাত্রী আকাশ বর্মন বলেন, সকালেই মেয়েকে বিদায় দিই। মেয়ে-জামাই চলে যায়। একটু বেলাতে দু’টি পিকআপ ভ্যানে আমরা ৬০ জন জামাইয়ের বাড়ি বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা হই। তাতে একটি গাড়িতে মহিলারা ছিলেন। অন্যটিতে পুরুষরা। পরের গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে নিয়ে আসাদের মধ্যে তিনজনকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিস জানিয়েছে, মৃতরা হলেন সিমন মুর্মু (৩৫), মঙ্গলা কিস্কু (৩০) এবং বানোতি সোরেন (৪০)। প্রথম ও তৃতীয়জন বিহারের বাহাদুরগঞ্জের এবং দ্বিতীয়জন হেলাগছের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিমন দিদির বিয়েতে যোগ দিতে হেলাগছে এসেছিলেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
ফাঁসিদেওয়া থানার ওসি ইফতিকার উল হুসেন বলেন, সড়ক ঘটনায় ৩০ জন জখম হন। তিনজন মারা যান। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, তিনজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। ২৮ জনকে মেডিক্যালে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
মেয়র বিকেলে মেডিক্যালে এসে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে তদারকি করেন। তিনি বলেন, সিএম’কে জানিয়েছি। দার্জিলিংয়ের ডিএম, এসপি’র সঙ্গে কথা বলেছি। সভাধিপতি বলেন, খুবই ভয়ঙ্কর একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। জখমদের দেখে এসেছি। পিকআপ ভ্যান উল্টে তিন কনেযাত্রীর মৃত্যু ও বেশ কয়েকজন জখম হওয়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। জখমদের চিকিৎসায় যাতে সমস্যা না হয় তা আমরা দেখছি। নিজস্ব চিত্র