সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
ডুয়ার্সে বুকিং বাড়লেও শৈলরানি দার্জিলিংয়ে পর্যটকের তেমন দেখা নেই। দুর্গাপুজো, কালীপুজো ও দেওয়ালির সময় পাহাড়ে সামান্য কিছু পর্যটক এসেছিলেন। কিন্তু বড়দিন ও নিউ ইয়ারে গতবারের মতো এখনও বুকিং নেই। দার্জিলিংয়ের অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান টাইগার হিলে সপ্তাহে দু’শোর মতো পর্যটকের দেখা মিলছে। টাইগার হিলে জিটিএ’র এন্ট্রি ইনচার্জ লোকে গুরুং হতাশার সুরে বলেন, গত বছর এ সময় টাইগার হিলে প্রায় ১০ হাজার পর্যটক এসেছিলেন। এবার সেইঅর্থে এখনও পর্যটকের দেখা নেই।
অন্যান্য বছর শীত পড়তেই টাইগার হিলে পর্যটকদের গাড়ির জন্য তীব্র যানজট হয়। যানজট এড়াতে দার্জিলিং ট্রাফিক পুলিস পর্যটক ও গাড়িচালকদের জন্য টোকেন চালু করে। দার্জিলিং ট্রাফিক পুলিসের ওসি দরজি শেরপা বলেন, ডিসেম্বর মাস পড়ে গিয়েছে। বড়দিন, নিউ ইয়ার এগিয়ে আসছে। কিন্তু টাইগার হিলে এবার পর্যটকদের গাড়ির আনাগোনা নেই বললেই চলে। বিগত বছরও এ সময়ে টাইগার হিলে প্রতিদিন ৮০০-৯০০ গাড়ি আসত। বড়দিনের প্রাক্কালেও দার্জিলিং পাহাড়ে পর্যটক না আসায় কার্যত হতাশ স্থানীয় হোটেল মালিক সংগঠন ও পর্যটন সংস্থাগুলিও। দার্জিলিং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাসি ভুটিয়া বলেন, হোটেল ভাড়ায় ছাড় দেওয়ার পরেও বড়দিনের বুকিং মিলছে না। দার্জিলিং ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রদীপ লামাও হতাশার সুরে বলেন, সব ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তারপরেও আশানুরূপ পর্যটক আসছেন না। তবে ভিন্ন ছবি ডুয়ার্সে। কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে ডুয়ার্সে ধীরে ধীরে পর্যটকদের বুকিং বাড়ছে। পর্যটকরা চিলাপাতা, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান, গোরুমারা অভয়ারণ্য ও লাটাগুড়ির জঙ্গলে বেড়াতে আসছেন। ডুয়ার্সের বেসরকারি হোটেল, লজ, রিসর্ট, হোম স্টে এবং পর্যটন দপ্তরের লজগুলিতে অন্যান্য বছর ডিসেম্বর মাসে প্রায় ১০০ শতাংশ বুকিং থাকে। সর্বত্র ঠাঁই নাই অবস্থা হয়। কোভিড পরিস্থিতির কারণে গত ক’মাস কর্মচারীদের মাইনে দিতেই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের মালিকদের নাভিশ্বাস উঠেছিল। খরা পরিস্থিতি কাটিয়ে ডুয়ার্সে ধীরে ধীরে পর্যটকদের বুকিং বাড়ায় এখন কিছুটা স্বস্তিতে হোটেল, রিসর্ট মালিকরা। ১০০ শতাংশ বুকিং না হলেও বড়দিনের আগে ডুয়ার্সের কোথাও ৬৮ শতাংশ ও কোথাও আবার ৬০ শতাংশ বুকিং হয়ে গিয়েছে। পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলির আশা, বড়দিন যত এগিয়ে আসবে, ততই বুকিং বাড়তে থাকবে।
মাদারিহাটে পর্যটন দপ্তরের জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট লজের ম্যানেজার নিরঞ্জন সাহা বলেন, বড়দিনের আগেই আমাদের ৬৮ শতাংশ বুকিং হয়ে গিয়েছে। আশা করছি, আরও বুকিং বাড়বে। ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সভাপতি পার্থসারথি রায় বলেন, আমরা খুশি যে এখনই ৬০ শতাংশ বুকিং হয়ে গিয়েছে। বড়দিনের আগে আশা করছি, বুকিং ১০০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। নিজস্ব চিত্র