কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে দলের সঙ্গে জড়িত মাথাভাঙা-২ ব্লকের রুইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিউ চ্যাংরাবান্ধা এলাকার বাসিন্দা বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। নিজে একজন আদ্যপ্রান্ত কৃষক। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মাথাভাঙা-২ ব্লকের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রথম তৃণমূল সরকারের শেষ আড়াই বছরে তিনি বনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয়বার তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ফের তাঁকে বনদপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার কেন্দ্রে তৃণমূলের ভরাডুবির পর বিনয়বাবুকে বনদপ্তর থেকে সরিয়ে দিয়ে দপ্তরহীন মন্ত্রী করে রাখা হয়েছিল। মন্ত্রীত্ব থেকে সরানোর মাস খানেকের মধ্যে বিনয়বাবুকে কোচবিহার জেলা তৃনমূলের সভাপতি করা হয়। লোকসভা নির্বাচনের পর জেলাজুড়ে তৃণমূলের টিকিটে জেতা জনপ্রতিনিধিদের বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। জেলা তৃণমূলের দায়িত্ব পাওয়ার পর সেই জনপ্রতিনিধিদের দলে ফিরিয়ে আনতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। লোকসভা নির্বাচনের পর এটাই মূখ্যমন্ত্রীর প্রথম কোচবিহার সফর। সেই সফরের আগে মন্ত্রিসভার রদবদল ঘটিয়ে বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে ফের দপ্তর দিয়ে তাঁকে পুরস্কৃত করলেন দলনেত্রী তথা মূখ্যমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
একই সঙ্গে বিগত বাম আমলে রাজবংশী সম্প্রদায়ের একাধিক বিধায়ক অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও তৃণমূলের দু’দফার সময়কালে এই প্রথম রাজবংশী সম্প্রদায়ের কোনও বিধায়ককে অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হল। স্বাভবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত জেলার তৃণমূল কর্মীরা। সোমবার সকাল থেকে বিনয়বাবুকে অভিনন্দন জানাতে তাঁর নিউ চ্যাংরাবান্ধার বাড়িতে ভিড় করেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। যদিও এদিন সকাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত থাকায় কর্মীদের তিনি সময় দিতে পারেননি।
এব্যাপারে বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, আমি দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর অনুগত সৈনিক। তিনি যখন যে দায়িত্ব দিয়েছেন আন্তরিকভাবে পালন করেছি। আমাকে এবারে অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই দায়িত্বও গুরুত্ব সহকারে পালন করব। এদিন দলীয় কর্মীরা অনেকেই আমার বাড়িতে দেখা করতে এসেছিলেন। সবার সঙ্গে সময় দিয়ে কথা বলতে পারিনি। দিদি কোচবিহার থেকে ফিরে যাওয়ার পর দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পরামর্শ নেব।