কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: সোমবার বিকাল ৪টায় রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টারে করে নেমে সেখানে কর্মিসভা করার পর সোজা মদন মোহন মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো দেওয়ার পর তিনি মন্দিরে সন্ধ্যারতি করেন। মন্দির চত্বর তখন লোকে লোকারণ্য। চারদিক থেকে তাঁকে দেখার জন্য উৎসুক মানুষের ভিড়। অসম থেকে আসা বেশকিছু মহিলা ও পুরুষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে এক ঝলক দেখার জন্য তখন ভিড় ঠেলে এগিয়ে যেতে ব্যস্ত। ছোট বাচ্চা কোলে নিয়ে অনেক মহিলা ভিড়ের মধ্যেই উঁকি দিচ্ছেন দিদিকে অন্তত একবার দেখার জন্য। এদিন মদন মোহন মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রীর আসার জন্য দুপুর থেকেই নিরাপত্তা কর্মীদের তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। তবে সাধারণ মানুষের জন্য মদন মোহন মন্দিরে প্রবেশে বাধা ছিল না। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পুজো দেওয়া ও সন্ধ্যারতি দেখার সময়টুকু সাধারণ মানুষকে মন্দিরের সামনে যেতে দেওয়া হয়নি। মন্দিরের ভিতরে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য যেমন ভিড় ছিল, তেমনি বাইরে লাগানো জায়ান্ট স্কিনেও ভিড় করে মন্দির চত্বরে দিদির পুজা দেওয়া ও সন্ধ্যারতি দেখছিলেন অনেকেই। ঢাকের তালে পূজারির মন্ত্রোচ্চারণে গোটা মন্দির চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে। আরতি দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর তিনি রাসচক্র ঘোরান। এদিন তাঁর সঙ্গে মদন মোহন মন্দিরে আসেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ, শীতলকুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন,মেখলিগঞ্জের বিধায়ক অর্ঘ্যরায় প্রধান প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রীর মদন মোহন মন্দির থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই বিধায়কদের নিয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায় রাসমেলার সাংস্কৃতিক মঞ্চে চলে যান। রাসচক্র ঘোরানোর পর মুখ্যমন্ত্রীও সাংস্কৃতিক মঞ্চে চলে যান। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের কারণে কিছুক্ষণ মদন মোহন মন্দিরের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী ৪টা ৫৫ মিনিট থেকে ২০ মিনিট মন্দির চত্বরে ছিলেন। এরপর সাংস্কৃতিক মঞ্চে গিয়ে তিনি বক্তব্য রাখেন।
