কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার সমস্ত প্রকল্প ও সরকারি সুযোগ সুবিধাগুলি নিয়ে আলোচনা হবে। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। যদিও কেউ খারাপ কাজ করে থাকে তবে তার অবশ্য আতঙ্ক থাকবে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর দলীয় সভা করার কোনও কর্মসূচি নেই। তিনি গঙ্গারামপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন বলেই আমাদের কাছে খবর রয়েছে। জেলার উন্নয়নের জন্য তিনি কী নতুন বার্তা দেন সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন জেলাবাসী।
লোকসভা ভোটের পর এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী এই জেলা সফরে আসছেন। জেলা সফরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে অস্থায়ী সভাগৃহ তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে জেলা প্রশাসন ও পুলিসের কর্তাব্যক্তিদের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের আধিকারিক ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা থাকবেন। লোকসভা ভোটে জেলায় তৃণমূলের ফল ভালো হয়নি। সেই প্রেক্ষাপটে লোকসভা ভোটের পর জেলা সফরে এসে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বর্তমানে বিজেপিতে যোগদানকারী বিপ্লব মিত্রের খাসতালুক বলে পরিচিত গঙ্গারামপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল ঠিক করা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল রয়েছে। সভা থেকে তিনি জেলার রাজনীতি নিয়ে কোনও বার্তা দেন কি না সেনিয়ে কৌতূহল রয়েছে। পাশাপাশি লোকসভা ভোটের পর জেলায় এসে শুধু প্রশাসনিক বৈঠক করে তিনি কী বার্তা দিতে চাইছেন সেনিয়েও জল্পনার অন্ত নেই।
ইতিমধ্যে প্রশাসনিক বৈঠককে কেন্দ্র করে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তটস্থ রয়েছেন প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিস কর্তারাও। বৈঠকে যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে দিন রাত জেগে রীতিমতো পড়াশুনা করেছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। জেলার জন্য সরকারি প্রকল্পের সঠিক ভাবে কাজ হয়েছে কি না তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট আছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে ঘনঘন রোগী রেফার, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা দিতে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ এই জেলাতেও রয়েছে। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সম্যক ওয়াকিবহাল রয়েছেন। সেসব প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলেন কি না সেনিয়েই চিন্তায় আধিকারিকরা। তপন ব্লকের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ না করে টাকা তুলে নেওয়ার একের পর ঘটনা সামনে এলেও প্রশাসনের তরফে আইনত ব্যবস্থা না নেওয়া প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। স্বাভাবিক ভাবে তপন ব্লকের ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এই বিষয়গুলি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী প্রশ্ন করবেন তা ভেবেই কুল পাচ্ছেন না আধিকারিকরা। কোনও ভাবে যাতে মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে না পরতে হয় সেই দিক নজর দিয়ে আধিকারিকরা দিনরাত এক করে কাজ করছেন। এদিনের সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কাশ্মীর ফেরত শ্রমিকদের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দিতে পারেন।