কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
লোকসভা ভোটে রাজ্যে শাসক দল তৃণমূলের বিপর্যয় হিসাবে টিম পিকের মূ্ল্যায়নে মূল কারণ হিসাবে উঠে এসেছে তফসিলি জাতি ও উপজাতি ভোটব্যাঙ্ক সরে যাওয়ার বিষয়টি। দেরিতে হলেও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারও সেটা বুঝতে পেরেছে। রাজবংশী ক্ষত্রিয় শিক্ষক সমিতি সূত্রে খবর, জেলার গ্রামীণ স্কুলগুলিতে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকার বিষয়টি টিম পিকের নজরেও আছে। যদিও জেলা শিক্ষা দপ্তর গ্রাম থেকে শিক্ষক তুলে শহরে পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রাজবংশী ক্ষত্রিয় শিক্ষক সমিতির আলিপুরদুয়ার শাখার সভাপতি চক্রধর রায় অধিকারী বলেন, আলিপুরদুয়ারের গ্রামীণ এলাকার বহু প্রাথমিক স্কুল থেকে শিক্ষকদের তুলে নিয়ে শহরের স্কুলে পাঠানো হচ্ছে। আমরা এবিষয়ে দিদিকে বলো ফোন নম্বরে ফোন করে নালিশ জানিয়েছি। বিষয়টি টিম পিকে’র লোকজনের কাছেও জানিয়েছি। চক্রধরবাবু আরও বলেন, রাজবংশী অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের উত্তর কামসিংয়ের একটি প্রাথমিক স্কুল থেকে এক শিক্ষককে জেলা সদরের একটি স্কুলে বদলি করা হয়েছে। বর্তমানে উত্তর কামসিংয়ের ওই স্কুলটি একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে। এরফলে ওই এলাকার পড়ুয়ারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জেলায় এমনিতেই সরকারি বিভিন্ন কমিটি থেকে শুরু করে স্কুল কমিটিগুলির সভাপতি পদে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। তার উপর এভাবে গ্রামের স্কুল থেকে শিক্ষক তুলে শহরে পাঠানোয় আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা। তাই এর প্রতিবাদে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠাচ্ছি।
আলিপুরদুয়ারে বর্তমানে ৮৪০টি প্রাথমিক স্কুল আছে। স্কুলের সংখ্যার তুলনায় জেলায় প্রাথমিকে শিক্ষকের সংখ্যা খুবই কম। স্কুলগুলিতে শিক্ষকের আকাল মেটাতে নানাভাবে চেষ্ট করছে শিক্ষা দপ্তর। আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান অনুপ চক্রবর্তী বলেন, স্কুল শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ঠিক নয়। শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে গ্রাম ও শহর বলে কিছু হয় না। শিক্ষক কম থাকলে শহর বা গ্রাম যেখানকার স্কুলই হোক না কেন সেখানে সাধ্যমতো শিক্ষক দেওয়া হয়েছে।