ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
মঙ্গলবাড়ি থেকে মহানন্দা সেতুতে উঠতেই যে অ্যাপ্রোচ রোড রয়েছে তারই একটি অংশ ভেঙে বসে গিয়েছে। সম্প্রতি খুব ছোট ছোট খুঁটি দিয়ে অংশটিকে ঘিরে দিয়ে বিপজ্জনক লেখা বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেতুতে ওঠার সময় যাতে ওই অংশ পথচারীরা এড়িয়ে যেতে পারেন তাই এই পদক্ষেপ নিয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তবে খালি অ্যাপ্রোচ রোডটুকুই নয়, জেলাবাসীর দাবি, গোটা সেতুটির অবস্থাই বেহাল। তাঁরা মহানন্দা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার দাবিও তুলেছেন। এই পরিস্থিতিতে জেলা বণিক সভাও ও পুরসভা একাধিকবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে এই পুরোনো সেতুটির সংস্কার নিয়ে বারবার আবেদন জানালেও কোনও কাজ হয়নি বলে দাবি। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, ওই বসে যাওয়া অংশ খুব দ্রুত সারাই করে দেওয়া হবে। পরে বাইপাস চালু হলে গোটা সেতুর সংস্কার করা হবে।
মালদহ বণিক সভার সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ সেতু। এই সেতু দিয়ে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে জেলার যোগাযোগ রয়েছে। মহানন্দা সেতুর মঙ্গলবাড়ির দিকের অ্যাপ্রোচ রোডের ওই অংশ আগে থেকেই বেহাল ছিল। দিন দিন অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। বণিক সভার তরফে এই বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনকে একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
পুরাতন মালদহ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের চন্দনা হালদার বলেন, এই সেতু মেরামতের জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও জেলাশাসককে বলা হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের উচিত এদিকে লক্ষ্য দেওয়া।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের মালদহ জেলার দায়িত্ব থাকা এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, এটা অনেক বছরের পুরোনো সেতু। এই সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডটি এক জায়গায় বসে গিয়েছে। স্ল্যাবও সরে গিয়েছে। ওই পথ দিয়ে অনেকে বাইক নিয়ে যান। অনেকে হেঁটে চলাচল করেন। তাই তাঁদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওখানে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। আমরা পরে এটি সারাই করে দেব। কিছু মাস আগেই সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেছি। সেখান যা রেজাল্ট পেয়েছি তাতে ভয়ের কিছু নেই। যখন পুরোদমে বাইপাস চালু হয়ে যাবে, তখন ওই সেতু সংস্কার করে দেব।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভারী গাড়ি গেলে সেতু নড়ে। সেতুর রঙ চটে গিয়েছে। অনেক শেড ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছে। সেতুর সৌন্দর্য হারিয়েছে। তার উপরে আবার অ্যাপ্রোচ রোডটিও বসে গিয়েছে। ইংলিশবাজার শহরের বাসিন্দা ওই যুবক বলেন, আমি গৌড়বঙ্গে কলেজের ছাত্র। প্রতিদিন আমাকে ওই সেতু পার হয়ে যেতে হয়। সেতুর বেহাল অবস্থা দেখে মনে এল যে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কিছু করা উচিত। তাই এধরণের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছি।