কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূলের সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, এমনটা হওয়ার কথা নয়। দেওয়াল লিখনে প্রার্থীর নাম থাকতেই হবে। কারা এমন করছে তা খোঁজ নিয়ে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করব। দলনেত্রী প্রার্থী বাছাই করে দিয়েছেন। এসব বরদাস্ত করা হবে না।
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ বলেন, আমিও বিষয়টি শুনেছি। বিপ্লববাবু ওই এলাকার লোক। তিনি পুরো বিষয়টি দেখছেন। আমাদের প্রচার চলছে।
গঙ্গারামপুর শহরের একাধিক দেওয়ালের দিকে তাকালেই চোখে পড়ছে তৃণমূলকে ভোট দিন, বিপ্লব মিত্র জিন্দাবাদ, প্রশান্ত মিত্র জিন্দাবাদ। কিন্তু সেখানে দলের প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের নাম লেখা নেই। ওই দেওয়ালের ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্প্রতি পোস্ট হওয়ায় দলের অন্দরে অর্পিতা অনুগামীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। বালুরঘাটের প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের একাংশ কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ ছিলই। ওই ক্ষোভ সামাল দিতে ময়দানে নামেন দলের জেলার পর্যবেক্ষর গৌতম দেব। তাঁর হস্তক্ষেপে ওই দ্বন্দ্ব মিটেছে বলে জেলার শীর্ষ নেতারা দাবি করলেও তা যে এখনও তুষের আগুনের মতো জ্বলছে তা জেলা সভাপতি বিপ্লববাবুর এলাকা গঙ্গারামপুরের দেওয়ালের দিকে তাকালেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। ফলে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসেছে। জেলা সভাপতির শহরে দলের লেখা দেওয়াল লিখনে প্রার্থী অর্পিতাদেবীর নাম কর্মীরা লিখছেন না। ওই শহরের অধিকাংশ দেওয়ালে প্রার্থীর পরিবর্তে বিপ্লববাবুর দুই ভাই প্রশান্ত মিত্র ও চিরঞ্জীব মিত্রের নাম দেখা যাচ্ছে। এমন ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিপ্লব মিত্রের অনুগামীরা যে প্রার্থী অর্পিতাদেবীকে এখনও মেনে নিতে পারেননি তা এতেই স্পষ্ট হচ্ছে। আর এটাই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের অধিকাংশ দেওয়ালই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে লেখা হচ্ছে। দলের ছাত্র সংগঠনও এখনও সেভাবে প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামেনি। টিএমসিপি’র জেলা সভাপতি অতনু রায় জানিয়েছেন, এখনও শীর্ষ নেতৃত্ব প্রচারে নামার নির্দেশ দেয়নি। তাই তাঁরা প্রচারে নামেননি। যদিও পুরো বিষয়টিতে অস্বস্তিতে পড়েছেন জেলা সভাপতি।