কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
এব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলার পুলিস সুপার সুমিত কুমার বলেন, ওই হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। সেসময় সুকান্তবাবু প্রচারের কাজ সেরে ইটাহারের দলের কার্যকর্তা, জ্যোতিষ সরকারের বাড়িতে রাতে থাকার জন্য যান। জ্যোতিষবাবুর বাড়িতে ঢোকার মুখেই কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। এককথা-দু’কথায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বিজেপি কর্মীরা সুকান্তবাবুকে জ্যোতিষবাবুর বাড়িতে টেনে ঢুকিয়ে দেয়। বিজেপির অভিযোগ, সুকান্তবাবুর গাড়ির ড্রাইভারকে ওই যুবকেরা টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় । সেখানে তাকে বেদম মারধর করে তারা। তার জামা ছিঁড়ে দেয়, মোবাইল কেড়ে নেয় এবং পকেটে থাকা ৭০০-৮০০ টাকাও নিয়ে নেয়। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। শনিবার সকালে ইটাহার থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেোপ। ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর পুলিস ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে ক্ষোভ প্রশমিত হয়।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরাই এই হামলা করেছে। তবে এভাবে আমাদের আটকানো যাবে না। এব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অমল আচার্য বলেন, আমার বাড়ি পাশেই উত্তরপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। আমি জানতে পেরেছি বিজেপির দলের লোকেরা গভীর রাতে মদ খেয়ে উন্মত্ত অবস্থায় আমার ও আমার দলের নামে কটূক্তি করছিল। আমাদের দলের কিছু সমর্থক এর প্রতিবাদ করে। ওদের মধ্যে বচসা হয়। এই ঘটনায় ইটাহার থানার পুলিস অন্যায়ভাবে আমাদের এক সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি নির্মল দাম বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের দলের প্রার্থীকে গালিগালাজ ও তাঁর গাড়ির ড্রাইভার রিঙ্কু বর্মনকে বেদম মারধর করেছে। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর হার নিশ্চিত জেনেই তৃণমূলের লোকেরা এইসব কাণ্ড করেছে। এনিয়ে আমরা দলীয়ভাবে সর্বোচ্চ স্তরে এবং প্রশাসনিকভাবে সমস্ত জায়গাতেই অভিযোগ জানিয়েছি। অভিযোগ জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনেও।