কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
শনিবার সকালে ইংলিশবাজার শহরের একটি চায়ের দোকানে চা খেতে ঢোকেন দিলীপবাবু। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, আমাদের কর্মীরা পথে নেমে পড়েছে। প্রচারে আরও ঝড় উঠবে। প্রত্যেক লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অনেকগুলি করে সভা করবে। আমরা সবে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছি। তাতেই দিদিমণির হুঁশ উড়ে গিয়েছে। আবোলতাবোল বকতে শুরু করেছেন। নির্বাচন শেষ হতে হতে পাগলও হয়ে যেতে পারেন। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল পুলিস আর গুণ্ডা দিয়ে কিছু নির্বাচন জিতেছে। কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশন পুলিসকে টাইট দিয়ে দিয়েছে। আর আমরা গুণ্ডাদের টাইট দিয়ে দেব। মানুষ গুণ্ডাদের টাইট দিয়ে দেবেন। রাজ্যের একাধিক পুলিস কর্তাকে বদলির প্রসঙ্গে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি নিজেদের উচ্ছ্বাস গোপন করেননি। তিনি বলেন, কোনও দাগি অফিসার নির্বাচন পরিচালনায় থাকবে না। একটি লিস্ট বেরিয়েছে। আরও বের হবে, অপেক্ষা করুন। দিলীপবাবু এদিন দাবি করেছেন, রাজ্যের প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ভোটকর্মীদের আন্দোলন ও রাজকুমার রায়ের মৃত্যু প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, রাজকুমারবাবুর মৃত্যুর পরে ভোটকর্মীদের উদ্বেগ স্বাভাবিক। তবে আমি মনে করি রাজ্যের প্রত্যেক বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি ভোট দাওয়াই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, অনুব্রত’র দাওয়াই তৈরি আছে। দুধকুমার দিয়ে দেবে। এদিন তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর ও পরে বুলবুলচণ্ডীতে প্রচারে গিয়ে বলেন, কেন্দ্রে বিজেপিই সরকার গড়বে। মালদহ থেকে আমরা দু’টি আসনই জিতব। গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে মানুষের স্বাভাবিক ভাষাকে আটকে দিলে নির্বাচন কমিশন তো দেখবেই, আমরাও চুপ থাকব না।
মালদহে একদিনের প্রচার কর্মসূচিতে শুক্রবার রাতেই মালদহে চলে এসেছিলেন দিলীপবাবু। এদিন সকালে তিনি ইংলিশবাজার শহরের গৌড়রোড থেকে মর্নিংওয়াকের স্টাইলে প্রচার করেন। শহরের মানুষকে সুপ্রভাত জানানোর পাশাপাশি রাস্তার ধারে চায়ের দোকানেও আড্ডাতে বসে যান। পরে তিনি উত্তর মালদহের একাধিক এলাকায় নির্বাচনী প্রচার করেন।