কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি শুরু হয় দুপুর থেকে। দুপুরে কালিয়াগঞ্জ ব্লকে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা সকাল সকাল প্রচারে বেরিয়েছিলেন। রায়গঞ্জ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি গোয়ালপোখর বিধানসভা এলাকায় হুড খোলা গাড়িতে রোড শো করেন। পোখরিয়ার নয়হাট এলাকায় তাঁর প্রচার চলার সময় বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে কিছু সময়ের জন্য তিনি প্রচার বন্ধ রাখেন। বৃষ্টি থামতেই তিনি আবার প্রচাতে নেমে পড়েন। সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম এদিন হেমতাবাদ বিধানসভা এলাকায় প্রচার করেন। মহারাজা এলাকায় তিনি প্রচার করার সময় বৃষ্টি শুরু হয়। সেসময় প্রচারের ফাঁকে তিনি ধামসা মাদল বাজিয়ে কর্মীদের উৎসাহ করেন। তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল এদিন সকালে হেমতাবাদ বিধানসভা এলাকা থেকে প্রচার শুরু করেন। ধোয়ারই, বাঙ্গালবাড়ি, মহিপুর, শাসন, ও শেরপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেন। তিনি শেরপুরে প্রচার চালানোর সময় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির সময় তিনি প্রচার বন্ধ রাখেন। বৃষ্টি থামতেই আবার প্রচারে নামেন। বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরি করণদিঘি বিধানসভা এলাকায় বৃষ্টিকে উপক্ষো করে প্রচার করেন। গাড়িতে বসেই তিনি এগিয়ে চলেন প্রচারে। রাস্তার পাশে লোকজন দেখলেই তিনি গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের কাছে ভোট ভিক্ষে করেন। দোমোহনা, জালালপুর, বিহিনগড়, পালসা সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করে তিনি ডালখোলা পুরসভা এলাকায় প্রচারে যান।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও এদিন সকাল থেকে আকাশ মেঘলা ছিল। দুপুরে গঙ্গারামপুর মহকুমায় ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। আরএসপি প্রার্থী রণেন বর্মন সকালেই প্রচার সারেন। অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা এদিন গঙ্গারামপুর মহকুমায় প্রচার রাখেননি। ফলে প্রচারে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। সন্ধ্যায় বালুরঘাটে কিছুক্ষণ ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয় কিন্তু তাতে প্রচারে কোনও বাধা পড়েনি। ঝড়ের কারণে হরিরামপুর ও কুশমণ্ডি সহ কয়েকটি এলাকায় কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না।
কৃষিদপ্তর জানিয়েছে এই বৃষ্টির কারণে কৃষিতে বিশেষ কোনও ক্ষতি হবে না। বরং চাষের উপকারে লাগবে। উত্তর দিনাজপুর জেলার কৃষিদপ্তরের মুখ্য কৃষি অধিকারিক মির ফারহাদ হোসেন বলেন, এই বৃষ্টিতে চাষের পক্ষে ভালো হল। ধান ও পাটের ভালো ফলনের জন্য বৃষ্টির প্রয়োজন ছিল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কৃষি আধিকারিক জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, জেলায় ৩০ হাজার হেক্টর গম চাষ হয়েছে। এদিন খাড়া বৃষ্টি হয়েছে তাই গমের বিশেষ ক্ষতি হবে না। তবে জমিতে জল দাঁড়িয়ে গেলে ফসল কাটতে দেরি হবে। ধান ও পাটের জন্য খুবই জরুরি ছিল এই বৃষ্টি।