কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, আমাদের দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী আগামী ১০ এপ্রিল আমাদের প্রার্থী দীপা দাশমুন্সির সর্মথনে জনসভা করবেন। নাগর সেতুর পার্শ্ববতী জায়গায় সেই সভা হবে। বিকাল ৪টায় জনসভা হবে। রাহুল গান্ধী কাটিহারে জনসভা সেরে হেলিকপ্টারে এখানে আসবেন। মাঠের পাশেই হেলিপ্যাডে তিনি নামবেন। আমরা ইতিমধ্যেই মাঠ পরির্দশন করেছি। অমাদের জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে যেমন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা জনসভায় আসবেন তেমনি আশপাশের জেলা থেকেও কংগ্রেস নেতাকর্মী ও প্রার্থীরা আসবেন।
জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, রাহুল গান্ধীর জনসভার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতির আবেদন পত্র জমা দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। জেলার সব জায়গা থেকেই কংগ্রেস কর্মীদের এই জায়গায় আসতে সুবিধা হবে। রাহুল গান্ধী আসছেন শুনে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যেও উৎসাহ দেখা দিয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলা এক সময়ে কংগ্রেস শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত ছিল। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মতো কংগ্রেস নেতা এই জেলা থেকেই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে উঠে এসেছিলেন। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে দু’বার জয়ী হয়েছিলেন। এরপর তাঁর স্ত্রী দীপা দাশমুন্সিও এই লোকসভা কেন্দ্রে থেকে একবার জয়ী হয়েছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি এখান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। এবার আবারও তিনি এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর হয়েই এবার নির্বাচনী প্রচারে জেলায় আসছেন রাহুল গান্ধী।
জেলা কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, করণদিঘি ব্লকের অন্তর্গত নাগর সেতু সংলগ্ন মাঠ নির্বাচন করার পিছনে কংগ্রেসের যুক্তি ওই জায়গাটিতে জেলার সব ব্লক থেকেই কর্মীদের আসার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা হবে। চোপড়া, ইসলামপুর থেকে শুরু করে গোয়ালপোখর, চাকুলিয়ার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের কর্মীরা বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে সরাসরি ওই জায়গায় সহজেই আসতে পারবেন। আবার রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহারের থেকেও কর্মীদের নাগর সেতুর পাশের ওই মাঠে পৌঁছাতে অসুবিধা হবে না। জায়গাটি জেলার প্রায় মধ্যস্থলে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৯ এপ্রিল রায়গঞ্জ ও ইসলামপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা করার কথা রয়েছে। ১০ এপ্রিল চোপড়ার দাসপাড়াতে তাঁর সভা রয়েছে। ওই একই দিনে জেলায় রাহুল গান্ধীর জনসভা হবে। ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধীর মতো ভিভিআইপি রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের জনসভার কারণে জেলায় ভোট প্রচারের উত্তাপ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।