কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
১৯৯১ সালের মে মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী কোচবিহারের পিলখানাতে নির্বাচনী সভা করতে এসেছিলেন। তারপর কোনও প্রধানমন্ত্রী কোচবিহারে আসেননি। তাই রবিবার নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী জনসভাকে ঘিরে বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি কোচবিহারের আমজনতার মধ্যে উৎসাহের পারদ চড়ছে। দিনভর সভার প্রস্তুতি চলেছে। শনিবার রাত থেকেই বিজেপি কর্মীরা শহরে আসতে শুরু করেছেন। কিন্তু রবিবার রাসমেলার মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রী রাজবংশীদের জন্য কী বার্তা দেন, চা বাগান, সীমান্ত সমস্যা কিংবা নাগরিকপঞ্জি ও কোচবিহার বিমানবন্দর প্রসঙ্গে মোদি কি বলেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন জেলার মানুষ। মমতার বিরুদ্ধে তিনি কতটা সুর চড়ান সেদিকেও রাজনৈতিক মহলের নজর থাকবে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদির জনসভার মধ্য দিয়ে বিজেপি কোচবিহারে ভোটের হাওয়া নিজেদের অনুকূলে আনার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু মোদির সভার পরের দিন, ৮ এপ্রিল রাসমেলা ময়দানেই সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে মোদির তোলা হাওয়া গেরুয়া শিবির নিজেদের পালে কতটা ধরে রাখতে পারবে সেটাই দেখার বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি নিয়ে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সভার যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছি। বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সভা শুরু হবে। কিন্তু এখানে কেন তৃণমূলকে কাঠামো করতে দেওয়া হয়েছে? কাঠামোর নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিসকে টাকা দিতে হয়। পুলিস কি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তৃণমূলের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে? আমরা বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষকের কাছে জানিয়েছি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, যতটুকু কাঠামো খোলার তা খোলা হয়ে গিয়েছে। মুকুল রায় ভুল কথা বলছেন। আমাদের মাঠের অনুমতি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য সৌজন্য দেখিয়ে আমরা কাঠামো খুলে দিচ্ছি। কিন্তু ওঁদের সৌজন্য নেই। ভোটের দিন বাসিন্দারা জোড়াফুলে ভোট দিয়ে ওদের সমঝে দেবে।
রাসমেলার ময়দানে ৮ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য তৃণমূল আগে থেকেই মঞ্চ তৈরি করে রেখেছিল। সেই মাঠে প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য মঞ্চ তৈরি করতে গিয়ে বিজেপিকে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। এর মধ্যে শনিবার কোচবিহারে দফায় দফায় ঝড় বৃষ্টির জেরে সভার প্রস্তুতির কাজ অনেকটাই পণ্ড হয়েছে। এসপিজি নিরাপত্তার মধ্যে গভীর রাত পর্যন্ত মঞ্চ তৈরির কাজ চলেছে। আসানসোল পুলিস কমিশনারেট থেকে পুলিস কুকুর জুলিকে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই বিজেপির নেতারা দফায় দফায় সভাস্থল পরিদর্শন করেন। গ্রেটারদের একাংশ ইতিমধ্যেই ভোটবাজারে বিজেপি প্রার্থীকে জেতাতে মাইকিং শুরু করেছে। গ্রেটার নেতা অনন্ত রায় মোদির সভাতে থাকতে পারেন। ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগান, উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বাসিন্দারা শনিবার রাত থেকেই কোচবিহারে আসা শুরু করেছেন। তাঁদের জন্য রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।