কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
সুভাষিণী চা বাগানের মাঠে এদিনের সভায় তৃণমূল নেত্রীর ৩০ মিনিটের ভাষণের সিংহভাগ জুড়েই ছিল চা বাগান, চা শ্রমিক ও বনবস্তিবাসীদের সমস্যা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভুটান সীমান্তে জয়গাঁর মানুষের পাট্টার সমস্যা ছিল। করে দিয়েছি। বন দপ্তরের জমিতেও পাট্টা মিলেছে। এবার চা বাগানের জমিতেও পাট্টা দেওয়ার জন্য এক্সপার্ট কমিটি বানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই কথায় সঙ্গে সঙ্গে জনসভায় করতালির ঝড় উঠে। এদিন অসমগামী ৩১সি জাতীয় সড়কের ধারে সুভাষিণী চা বাগানের মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ছিল থিক থিকে ভিড়। মাঠ ছাপিয়ে ভিড় চলে যায় একেবারে জাতীয় সড়ক পর্যন্ত। সভায় চা মহল্লা ও বনবস্তি এলাকার বাসিন্দাদের নজরকাড়া উপস্থিতি দেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বন্ধ চা বাগানে বিনে পয়সায় বিদ্যুৎ, পরিস্রুত পানীয় জল, রেশন দেওয়া হয়েছে। দিল্লির সরকার চা শ্রমিকদের কিছুই দেয় না।
জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা থেকে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে ৮২টি বনছায়া বা বনবস্তি আছে। এই ৮২টি বনবস্তিতে বাসিন্দার সংখ্যা সাড়ে তিন লক্ষের উপরে। বনবস্তিতে ভোটারের সংখ্যা এক লক্ষ। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট বনবস্তিবাসীদের উচ্ছেদের রায় দিয়েছে। আর তাতেই আলিপুরদুয়ারের বিপুল সংখ্যক বনবস্তিতে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের আশঙ্কা গ্রাস করেছে। সভায় বনবস্তিবাসীদের নজরকাড়া উপস্থিতি দেখে তৃণমূল নেত্রী বলেন, বনবস্তিবাসীদের বনে থাকার অধিকার নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় রিভিউয়ের জন্য রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাবে। বিধানসভা ভোটের আগে মাদারিহাটে এসে নরেন্দ্র মোদি সাতটি চা বাগান খোলার আশ্বাস দিয়েছেন। বাগান খোলেনি। জিতে গিয়ে মাদারিহাটে আর আসেননি। শুধু মিথ্যা কথা বলে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। আমরা সাতটি বাগান খুলে দিয়েছি।
সভায় চা শ্রমিকদের উদ্দেশে তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, চা বাগানে ৪৬ পয়সা দরে ২০ কেজি চাল ও ১৫ কেজি আটা দিচ্ছি। আমরা শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি। ন্যূনতম মজুরি নিয়ে আমরা চর্চা করছি। শ্রমিকরা কন্যাশ্রী, আবাস যোজনা পাচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পাচ্ছে। বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের ১৫০০ টাকা করে মাসোহারা দিচ্ছি। এরপরেই তৃণমূল নেত্রী আবেদনের ভঙ্গিতে বলেন, তাহলে কেন আমাদের ভোট দেবেন না? পঞ্চায়েতের সুফল তো আপনারা পাচ্ছেন। উত্তরবঙ্গ বনজন শ্রমজীবি মঞ্চের আহ্বায়ক লাল সিং ভুজেল বলেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাসকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমাদের আশা, বিষয়টি যেন এখানেই থেমে না থাকে। ভোটের পরে যেন বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ করে।