ঢাকা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামাত নেতাকে মুক্তি দিতে হবে। আর তা না হলে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থানে বসবে জামাত-ই-ইসলামি। শনিবার ইউনুস সরকাকে কার্যত ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিয়ে হুঁশিয়ারি দিল হাসিনার আমলে নিষিদ্ধ সংগঠন। জামাতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উঠেছিল। যার জেরে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় তাঁকে। তারপর থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। শনিবার লক্ষ্মীপুরে জমায়েতের আয়োজন করে জামাত। সেখানে সংগঠনের আমির (প্রধান নেতা) শফিকুর রহমান বলেন, ‘আজহারুলকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। একে একে সব জাতীয় নেতারা মুক্তি পেলেও আজহারুল ইসলাম বৈষম্য ও জুলুমের শিকার। দুঃশাসন থেকে জাতি এখন মুক্তি চায়।’ অবিলম্বে আজহারুলকে মুক্তি না দিলে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে গণঅবস্থান শুরু হবে। আজহারুলকে মুক্তি দেওয়া না হলে, তাঁকেও গ্রেপ্তার করতে হবে বলে দাবি করেন শফিকুর।
জামাত নেতার হুঁশিয়ারির পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আদালতকে এড়িয়ে কীভাবে একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দিতে পারে তত্ত্বাবধায়ক সরকার? তবে মহম্মদ ইউনুস দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশের একাধিক জঙ্গি নেতা, আসামিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাসিনাকে খুনের চেষ্টার মামলায় অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়। একইভাবে চট্টগ্রাম অস্ত্রপাচার মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরের মৃত্যুদণ্ড মকুব ও পরে তাঁকে খালাস করে দেওয়া হয়। তবে সব ক্ষেত্রেই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল।