মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
ট্রাম্পের মিথ্যে ভাষণের হিসেব রাখতে ‘লাই মিটার’, ‘ফ্যাক্ট চেক’ ব্যবস্থা চালু করেছিল সেদেশের সংবাদমাধ্যমগুলি। পরে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সেই সব ক্রমশ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ফের ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসায় নতুন করে ‘ফ্যাক্ট চেক’ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার ভাবনাচিন্তা করছে সংবাদমাধ্যমগুলি।
সোমবার দুটি জায়গায় ভাষণ দেন ট্রাম্প। শপথ গ্রহণের পর ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের রোটান্ডা। তারপর এমানসিপেশন হলে সমর্থকদের সমাবেশ। দুটি জায়গাতেই তিনি অর্থনীতি, বিদেশনীতি, অভিবাসন ইত্যাদি নিয়ে একের পর এক ভুল তথ্য পেশ করেছেন বলে দাবি সংবাদমাধ্যমের। সোমবার ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, চীন পানামা খালের দখল নিয়েছে। তাই মার্কিন জাহাজের উপর অস্বাভাবিক হারে কর চাপানো হচ্ছে। পানামা খালের দখল আমেরিকা নিয়ে নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। অথচ, পানামা খাল কর্তৃপক্ষ স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছে, এমন অভিযোগের সারবত্তা নেই। সব জাহাজের ক্ষেত্রেই সম হারে কর নেওয়া হয়। ট্রাম্প তাঁর ভাষণে দাবি করেছিলেন, গাড়িশিল্পকে রক্ষা করার জন্য বিদ্যুত্চালিত গাড়ি বাধ্যতামূলক সংক্রান্ত আইন খারিজ করা হবে। অথচ, বাস্তবে আমেরিকায় এমন কোনও আইনই নেই। এছাড়া ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্পূর্ণ কারচুপি হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন ট্রাম্প। যদিও বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্পের অ্যাটর্নি জেনারেলই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভোটে কোনও কারচুপি হয়নি। এছাড়া চীনের উপর উচ্চ হারে কর চাপানো সহ একাধিক দাবি করেছেন ট্রাম্প, যার আদতে কোনও ভিত্তি নেই।
ওয়াশিংটন পোস্টের দেওয়া হিসেব বলছে, প্রচারের সময়ও একের পর এক মনগড়া কথা বলেছেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে একদিনেই ৫০৩টি মিথ্যা কথা বলেছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই বছর গড়ে প্রত্যেকদিন ছয়টি করে মিথ্যা দাবি বা ভুয়ো তথ্য দিতেন তিনি। ২০২০ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় গড়ে প্রতিদিন ৩৯টি। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুটা খারাপ করেননি ট্রাম্প! আগাগোড়া চালিয়ে খেলেছেন। ভবিষ্যতে আরও কী অপেক্ষা করছে, সেদিকেই এখন নজর সকলের।