বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
শেখ হাসিনার প্রধান বিরোধী বিএনপিও সংবিধান বদলের প্রস্তাবে রাজি হয়নি। সোমবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারও জানিয়ে দেয়, বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের কর্মসূচি পুরোটাই ব্যক্তিগত উদ্যোগ। এর সঙ্গে ইউনুস সরকারের কোনও যোগ নেই। তারপর থেকেই ছাত্র নেতাদের কর্মসূচি নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল। তারপর রাতে মহম্মদ ইউনুসের প্রেসসচিব শফিকুল আলম ঘোষণা করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারই জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ তৈরি করবে। ১৫ জানুয়ারি সেই ঘোষণাপত্র পাঠ করতে পারেন ইউনুস। আর তাতেই চাপে পড়ে যান ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। একের পর এক বৈঠকে বসেন তাঁরা। শেষে সোমবার রাত একটার পর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, মঙ্গলবার বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ স্থগিত থাকছে। শুধু ঢাকায় ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি আয়োজন হবে। এদিন ওই কর্মসূচিতে ছাত্র নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সরকার ঘোষণাপত্র প্রকাশ না করলে ফের রাস্তায় নামবেন তাঁরা।
এরই মধ্যে বাংলাদেশে মৌলবাদীদের ‘তাণ্ডব’ অব্যাহত। এবার টাঙ্গাইল শহরে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। পাশাপাশি ভেঙে দেওয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ আন্দোলনের প্রধান চার নেতার ম্যুরালও। সোমবার রাতে কয়েকজন ব্যক্তি বুলডোজার এনে ম্যুরালগুলি ভেঙে দেয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পুলিস জানিয়েছে, তারা এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানে না।
ছাত্র নেতাদের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস স্পষ্ট বলে দেন, ‘শহিদের রক্তের উপর দিয়ে লেখা যে সংবিধান, সেই সংবিধানকে যখন কবর দেওয়ার কথা বলা হয়, তখন কিন্তু আমাদের কষ্ট লাগে। এ ধরনের কথা ফ্যাসিবাদের মুখ থেকে আসে।’ গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকও জানিয়ে দেন, ’১৭ বার সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। এটা বাতিলের প্রয়োজন নেই। বরং সবার সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধন করা যায়।’ সংবিধান বাতিলের সমালোচনা করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিও। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাবই মানতে বাধ্য হন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
যদিও ছাত্র নেতা আব্দুল হান্নান মাসুদ দাবি করেন, ‘এই ঘোষণাপত্র যেন আমরা প্রকাশ করতে না পারি, তার জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়েছে। তবে তা আটকে দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।’ এদিনের কর্মসূচিতে ছাত্র নেতা সারজিস আলম স্বীকার করে নিয়েছেন, আগস্টে কোটা বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল জামাত-ই-ইসলামি।