বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
তরুণীর নাম নিমিশা প্রিয়া। তিনি কেরলের পলক্কড জেলার বাসিন্দা। পেশায় একজন নার্স। বেশ কিছু বছর ধরে তিনি ইয়েমেনের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। আর্থিক কারণে ২০১৪ সালে নিমিশার স্বামী এবং সন্তান ভারতে ফিরে আসেন। কিন্তু ওই বছরই ইয়েমেন শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। ফলে তাঁরা আর সে দেশে নিমিশার কাছে ফিরতে পারেননি। এরপর ২০১৫ সালে নিমিশা তালাল আব্দো মহদি নামের এক ইয়েমেনি নাগরিকের সহায়তায় সেখানে নিজের একটি ক্লিনিক খোলেন। কারণ, ইয়েমেনের আইন অনুযায়ী, ইয়েমেনের নাগরিক না হলে সেখানে ক্লিনিক খোলা যায় না। নিমিশার দাবি, কিছু বছর পরে ২০১৭ সালে নাগাদ তাঁর সঙ্গে মহদির মতবিরোধ শুরু হয়। নিমিশার অভিযোগ, মহদি তাঁকে দিনের পর দিন অত্যাচার এবং শারীরিক হেনস্তা করে। তার পাসপোর্টও সে কেড়ে নেয়। অভিযোগ, এর পরই ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ঘুমের ওষুধ দিয়ে মহদিকে অজ্ঞান করেন নিমিশা। তাঁর একটাই উদ্দেশ্য ছিল, পাসপোর্ট পুনরুদ্ধার করা। কিন্তু ওষুধের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে মহদির মৃত্যু হয়। ২০১৮ সালে নিমিশাকে দোষী সাব্যস্ত করে ইয়েমেনের আদালত। মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
নিমিশাকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে তার পরিবারের তরফ থেকে। সাহায্য করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রকও। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “নিমিশার মৃত্যুদণ্ড সম্পর্কে আমরা অবগত। তার পরিবার সব রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত সরকারও এ বিষয়ে যথা সম্ভব সাহায্য করছে।”